শিক্ষারত্ন পাচ্ছেন মগরাহাটের প্রধান শিক্ষক, কেন জানেন?
সমাজের জন্য কিছু করতে পেরে ভালোই লেগেছে। আমার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করব ভেবে দারুণ খুশি।”

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০.১৫: কোভিড মহামারির ধাক্কায় যখন স্কুল বন্ধ, পরিবারে আর্থিক অনটন, তখন পড়াশোনা অনেকের কাছে বিলাসিতা হয়ে উঠেছিল। কেউ পরিচারিকার কাজ শুরু করে, কেউ ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয় হোটেল শ্রমিক হিসেবে। এমন পরিস্থিতিতে স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়তে থাকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মড়াপাই সেন্ট প্যাট্রিকস হাই স্কুলে। কিন্তু হাল ছাড়েননি প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিন মল্লিক।
স্থানীয়দের মতে, মতিন স্যর শুধু শিক্ষক নন, এক জনযোদ্ধা। তিনি শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্থানীয় ক্লাব, পঞ্চায়েত, পুলিশ প্রশাসন ও অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় বৈঠক করেন। বোঝান শিক্ষার গুরুত্ব, রুখে দেন বাল্যবিবাহ। তাঁর উদ্যোগে প্রায় ৭০ শতাংশ স্কুলছুট ছাত্রছাত্রী আবার ফিরে আসে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে।
নাবালিকা মেয়েদের বিয়ে আটকাতে মতিন স্যরের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিচারিকার কাজ থেকে সরিয়ে তাঁদের স্কুলে ফিরিয়ে আনেন তিনি। তাঁর প্রচেষ্টা শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, সমাজের গভীর সমস্যার বিরুদ্ধে এক সাহসী পদক্ষেপ। এই অসামান্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এবছর শিক্ষক দিবসে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে শিক্ষারত্ন পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। ধনধান্য অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করবেন তিনি।
আবদুল মতিন বলেন, “স্কুলছুট ও বাল্যবিবাহ রুখতে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করেছি। সমাজের জন্য কিছু করতে পেরে ভালোই লেগেছে। আমার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করব ভেবে দারুণ খুশি।”