CAA-তে নাগরিকত্ব পেয়েছেন মাত্র ৩ জন! আইনের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন হিমন্ত
প্রসঙ্গত, সিএএ আনা হয়েছিল পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি,০৯:৫০: নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) ঘিরে ফের বিতর্ক। সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, সিএএ-তে নাগরিকত্বের আবেদন করার জন্য ভারতে প্রবেশের শেষ সময়সীমা ২০১৪ থেকে বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘোষণার পরেই আইনটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এতদিনে সিএএ-র আওতায় অসমে মাত্র তিনজন নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাঁর কথায়, “অসমে সিএএ-তে নাগরিকত্বের জন্য ২০-২৫ লক্ষ মানুষ আবেদন করবেন বলে প্রচুর হৈচৈ হয়েছিল। অথচ বাস্তবে মাত্র ১২টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে তিনটি মঞ্জুর হয়েছে, ন’টি এখনও প্রক্রিয়াধীন।”
প্রসঙ্গত, সিএএ আনা হয়েছিল পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। নতুন বিজ্ঞপ্তির আগে এন্ট্রি কাট-অফ ছিল ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। সেটাই এবার বাড়িয়ে ২০২৪ করা হয়েছে।
অসমে এই আইন নিয়ে সবসময়ই আতঙ্ক ছিল যে বিপুল সংখ্যক বিদেশি নাগরিক ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর পরিসংখ্যান সেই আশঙ্কাকে কার্যত খারিজ করেছে। যদিও বিরোধীদের মতে, হিমন্তর বক্তব্যে আসলে আইনের প্রাসঙ্গিকতাই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আবেদনকারীর সংখ্যা এত কম হলে এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।