অটল টানেলের উদ্বোধনেও কংগ্রেসকে তোপ মোদির
হিমাচল প্রদেশের রোটাং পাসে অটল টানেলের উদ্বোধনে গিয়েও নাম না করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ৬ বছরে তাঁর সরকার যে কাজ করেছে তা ২৬ বছর ধরে হয়নি বলেও উল্লেখ করলেন।
শনিবার সকালে হিমাচল প্রদেশের রোটাং পাসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাইওয়ে টানেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের আধিকারিকরা। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৩ হাজার মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ৯.০৯ কিলোমিটাক দীর্ঘ এই টানেলটি তৈরি হওয়ায় এখন থেকে সারাবছর মানালির সঙ্গে লাহুল-স্পিতি উপত্যকার যোগাযোগ বজায় থাকবে।
অটল টানেল (Atal Tunnel) -এর উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের দিন ঐতিহাসিক। আজ শুধু অটলজির স্বপ্নই পূরণ হল না, দীর্ঘদিন ধরে থাকা হিমাচল প্রদেশের মানুষদের চাহিদাও পূরণ হল। একদিন এই হিমাচলের মাটিতে অটলজির সামনে বসে আমি আর ধুমলজি যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম তা বাস্তবায়িত হল। এর ফলে এই এলাকার মানুষের জীবন ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এখন সময়ের অপেক্ষা। তবে দেশের অন্য প্রকল্পের মতো অটল টানেলের কাজের গতিও প্রচণ্ড ধীরগতিতে চলছিল। ২০১৪ সালের আগে মাত্র ১৩০০ মিটার কাজ হয়েছিল। কিন্তু, তারপর বাকি ৬ বছরের মধ্যে ৯.০৯ কিলোমিটার লম্বা এই টানেলটি সম্পূর্ণ তৈরি করা হয়েছে। দু’বছর আগে অসমে বগিবিল ব্রিজ উদ্বোধন করেছিলাম। এর ফলে আজ উত্তর-পূর্ব ভারতে মানুষরা অত্যন্ত উপকৃত হয়েছে। আশাকরি একই ঘটনা ঘটবে হিমাচলের মানুষদের ক্ষেত্রেও। অটলজি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন যে প্রকল্পগুলি শুরু করেছিলেন পরের সরকারের আমলে তার কাজ আটকে যায়। কিন্তু, ২০১৪ সালের পর থেকে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। গোটা দেশজুড়ে আটকে থাকা প্রকল্পগুলির কাজে গতি এসেছে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগে বরফ জমে থাকার কারণে লাহুল-স্পিতি উপত্যকার সঙ্গে যোগ থাকত না হিমাচলের। তাই ২০০০ সালের ৩ জুন এই টানেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। পরবর্তীকালে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে রোটাং টানেলের পরিবর্তে অটল টানেল নাম রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।