হার্ভার্ডের অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ’, ট্রাম্প প্রশাসনকে ধমক ফেডেরাল কোর্টের

ফেডেরাল কোর্টের বিচারক তাঁর রায়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে এবং এটি ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

September 4, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:১২: ফের আইনি ধাক্কা খেল ট্রাম্প প্রশাসন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে আর্থিক অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করল মার্কিন ফেডেরাল আদালত। ফেডেরাল কোর্টের বিচারক তাঁর রায়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে এবং এটি ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিশোধমূলক আচরণ।

২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে, হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে ইজরায়েল বিরোধী আন্দোলন ও প্যালেস্তিনীয়দের প্রতি সহানুভূতিশীল প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ তোলে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইহুদি বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলারের গবেষণা অনুদান এবং পরে আরও ৪৫ কোটি ডলারের অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক প্রতিশোধ বলে আদালতে মামলা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, প্রশাসনের নির্দেশ না মানায় এই অনুদান বন্ধ করা হয়েছে। আদালত সেই যুক্তিতে সহমত পোষণ করে জানায়, “সরকার ইহুদি বিদ্বেষকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপর রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করেছে”।

বিচারক অ্যালিসন বারোঘস (Allison D. Burroughs) তাঁর ৮৪ পাতার রায়ে বলেন, “এই সিদ্ধান্ত প্রথম সংশোধনী, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া আইন এবং নাগরিক অধিকার আইনের পরিপন্থী”। তিনি আরও বলেন, “সরকার গবেষণা অনুদানকে রাজনৈতিক মতাদর্শ চাপানোর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না”।

এই রায়কে হার্ভার্ডের পক্ষ থেকে ‘একাডেমিক স্বাধীনতার জয়’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার বলেন, “কোনও সরকার আমাদের কী পড়াতে হবে, কাকে নিয়োগ করতে হবে বা কী গবেষণা করতে হবে, তা নির্ধারণ করতে পারে না”।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen