বন্যা দুর্গতদের পাশে পঞ্জাব কিংস,৩৩.৮ লাখ টাকা অনুদান, উদ্ধার ও ত্রাণে বড় উদ্যোগ
প্রায় ১,০০০-র বেশি গ্রাম ডুবে গেছে জলে এবং প্রায় ৬১,০০০ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। প্রায় ১৪.৬ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৩৬: পঞ্জাব বর্তমানে বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সব থেকে ভয়াবহতম বন্যার মুখোমুখি। ইতিমধ্যেই এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ৩৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং প্রায় ৩.৫ লক্ষ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। প্রথমদিকে ১২টি জেলায় বন্যার প্রভাব দেখা গেলেও এখন পুরো রাজ্যের ২৩টি জেলাই বন্যাক্রান্ত বলে ঘোষণা করেছে পঞ্জাব সরকার। প্রায় ১,০০০-র বেশি গ্রাম ডুবে গেছে জলে এবং প্রায় ৬১,০০০ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। প্রায় ১৪.৬ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি পঞ্জাব কিংস (PBKS)। ‘টুগেদার ফর পঞ্জাব’ ক্যাম্পেইনের আওতায় হেমকুন্ত ফাউন্ডেশন ও রাউন্ড টেবিল ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা ৩৩.৮ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে। এই অর্থ দিয়ে ভাসমান রেসকিউ বোট কেনা হবে, যা বিপর্যস্ত এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার এবং জরুরি চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দিতে ব্যবহৃত হবে। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী সরবরাহে এই অর্থ ব্যয় হবে। ভবিষ্যতে রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলার কাজেও এই নৌকাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

পঞ্জাব কিংস এখানেই থেমে থাকছে না। তারা কেট্টো প্ল্যাটফর্মে একটি অনলাইন ফান্ডরেইজিং ক্যাম্পেইন শুরু করছে, যার লক্ষ্য ২ কোটি টাকা সংগ্রহ। এই অর্থ দ্য গ্লোবাল শিখ চ্যারিটি-কে দেওয়া হবে, যাতে পুনর্গঠন কার্যক্রমে আরও সহযোগিতা করা যায়।
প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীর থেকে নামা জল স্রোত এবং বাঁধের জল ছাড়ার ফলে পঞ্জাবের তিনটি প্রধান নদী — সতলুজ, বেয়াস এবং রবি, ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। ফলে রাজ্যের বহু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, বিএসএফ এবং স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় ১১,০০০-এর বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে।
এর আগেও পঞ্জাবের বন্যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার শুভমন গিল। পঞ্জাব কিংসের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে বন্যাকবলিতদের জন্য বড় আশা জাগাচ্ছে এবং অন্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলিকে অনুপ্রাণিত করবে সহায়তার হাত বাড়াতে।