সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের দশটি কালজয়ী গান
১৯৪৫-এর অগস্ট মাসে এক চোদ্দ বছর বয়সের কিশোরীর প্রথম রেকর্ড বেরলো কলম্বিয়া থেকে। আধুনিক গান— গিরীন চক্রবর্তীর কথায় ও সুরে ‘তুমি ফিরায়ে দিয়াছ’ ও ‘তোমার আকাশে ঝিলমিল করে’।
এর বছর দু’য়েকের মধ্যেই দু’টি বাংলা ছবিতেও নেপথ্যে গাইবার সুযোগ হয়ে গেল: রাইচাঁদ বড়ালের সঙ্গীত পরিচালনায় ‘অঞ্জনগড়’ এবং রবীন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গীত পরিচালনায় ‘সমাপিকা’ ছবিতে। শুধু তাই নয় ওই একই বছরে অর্থাৎ ১৯৪৮-এ তিনটি আধুনিক গানের রেকর্ড! ১৯৪৫ থেকে ১৯৪৮: এই তিন বছরের উজ্জ্বল সঙ্গীতযাত্রাই বলে দিচ্ছে যে এই কিশোরী থাকতেই এসেছেন।
তিনি আর কেউ নন, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়— জীবন্ত কিংবদন্তি। শুনে নিন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের এই দশটি কালজয়ী গান।,
এই পথ যদি না শেষ হয়
সপ্তপদীর এই গান যেন বাংলা সিনেমার গানের মাইলস্টোন। গানটি গেয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এবং সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। গানটির কথা লেখেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।
তুমি না হয় রহিতে কাছে
পথে হল দেরী সিনেমায় সুচিত্রা লিপে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের এই গান যেন আজও বাঙালির মনের খুব কাছে।
মধুমালতী ডাকে আয়
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের চয়নিকা একক অ্যালবামের এই গানটি সেই সময় ব্যপকহারে জনপ্রিয় হয়। সেই জনপ্রিয়তায় এতোদিন পরেও কোন ভাটা পড়েনি।
কি মিষ্টি দেখ মিষ্টি
নায়িকা সংবাদ সিনেমায় অঞ্জনা ভৌমিকের জন্যে গাওয়া সন্ধ্যার এই গানটি সত্যিই বড় মিষ্টি।
গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু
অগ্নিপরীক্ষা সিনেমায় ম্যাডাম সেনের লিপে গাওয়া সন্ধ্যার এই গানটি বাঙালির নস্ট্যালজিয়া।
কে তুমি আমারে ডাক
অগ্নিপরীক্ষা সিনেমায় সন্ধ্যার গাওয়া অপর একটি জনপ্রিয় গান।
ঘুম ঘুম চাঁদ
সবার ওপরে সিনেমায় গাওয়া সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের এই গানটি যেন সত্যিই মধুর এক ঘুমপাড়ানি গান। এই গানে গায়কির স্নিগ্ধতাই প্রমাণ করে কতো বড় মাপের শিল্পী ছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
চম্পা চামেলি গোলাপেরই বাগে
অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সিনেমার এই গানটির কোন ভূমিকার প্রয়োজন নেই। আজও একই ভাবে জনপ্রিয় এবং নতুন সন্ধ্যার গাওয়া এই গানটি।
এ গানে প্রজাপতি
শ্যামল মিত্রের সুরে, সন্ধ্যার গাওয়া মিষ্টি এই গানটি বাঙালির মনে দেয়া নেয়া ছবির জায়গাকে আরো দৃঢ় করেছিল।
আমি স্বপ্নে তোমায় দেখেছি
ম্যাডাম সেনের লিপে সন্ধ্যার গাওয়া বিপাশা ছবির এই গানের জনপ্রিয়তা আজও অব্যহত।