সুন্দরবনের শিক্ষক ভোলানাথ দাস পেলেন ‘ন্যাশনাল লাল বাহাদুর শাস্ত্রী পুরস্কার’
সুন্দরবনের দ্বীপাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছেন শিক্ষক ভোলানাথ দাস।
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:০০: সুন্দরবনের দ্বীপাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছেন শিক্ষক ভোলানাথ দাস। সেই অবদানকেই স্বীকৃতি দিল দেশ। নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি স্পিকার হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁকে সম্মানিত করা হয় ‘ন্যাশনাল লাল বাহাদুর শাস্ত্রী পুরস্কার ২০২৫’-এ (The Lal Bahadur Shastri National Award)।
জাতীয় স্বীকৃতি পেয়ে আপ্লুত ভোলানাথবাবু বলেন, “এ স্বীকৃতি আমার নয়, দ্বীপাঞ্চলের প্রতিটি পড়ুয়া ও তাঁদের পরিবারকে উৎসর্গ করছি। একইভাবে কাজ চালিয়ে যাব।”
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষকতার পাশাপাশি ভোলানাথ দাস সক্রিয়ভাবে যুক্ত সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে। বিশেষত বন্যাপ্রবণ সুন্দরবন অঞ্চলের শিশুদের শিক্ষার সংকট নিয়ে তাঁর দীর্ঘ গবেষণা এবং উদ্যোগই এনে দিয়েছে এই জাতীয় স্বীকৃতি।
তিনি জানান, “সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবনের সময় দীর্ঘদিন জলের তলায় ডুবে থাকে। তখন বহু পড়ুয়া স্কুলে আসতে পারে না। পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তাই বিকল্প শিক্ষাপদ্ধতি, ডিজিটাল ক্লাসরুম, আর স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় শিক্ষার ধারা অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করেছি।”
শিক্ষার পাশাপাশি তিনি জোর দিয়েছেন গ্রামীণ দারিদ্র্যের সমস্যার দিকেও। তাঁর মতে, আর্থিক অনটনের কারণে বহু শিশু মাঝপথেই স্কুল ছেড়ে দেয়। এই প্রবণতা রুখতে শিক্ষকদের উৎসাহিত করা জরুরি। তিনি প্রস্তাব রেখেছেন, বিশেষ ভাতা চালু করলে শিক্ষকরা প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিল্লি বিধানসভার স্পিকার বিজেন্দ্র গুপ্ত, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুনীল শাস্ত্রী (প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর পুত্র), প্রাক্তন মন্ত্রী মঙ্গৎ রাম সিংহল এবং কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব ড. সঞ্জীব কুমার পাটোশি।
শিক্ষক ভোলানাথ দাসের কথায়, লক্ষ্য একটাই- “সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও শিশুদের পড়াশোনা যাতে অব্যাহত থাকে।”