‘জেন জেড’ আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ নেপাল, মৃত অন্তত ২১, পদত্যাগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিরোধীরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির (KP Sharma Oli) পদত্যাগ দাবি করছে। তবে ওলি এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২৩.০০: সোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধকরণকে কেন্দ্র করে তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনে জ্বলছে নেপাল (Nepal) । রাজধানী কাঠমান্ডুসহ (Kathmandu) একাধিক শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২১ জনের। আহত কমপক্ষে ২৫০। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক। বিরোধীরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির (KP Sharma Oli) পদত্যাগ দাবি করছে। তবে ওলি এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স, ইনস্টাগ্রাম-সহ ২৬টি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করে নেপাল সরকার (Nepal Government)। অভিযোগ ছিল, এগুলি প্রশাসনের সঙ্গে সরকারি ভাবে নথিবদ্ধ ছিল না। সরকারের দাবি, সময়সীমা দেওয়া হলেও কোনও সংস্থাই শর্ত পূরণ করেনি। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক প্রতিবাদ ঠেকানো।
সোমবার থেকে রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। উত্তেজিত জনতা সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ে, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জলকামান, লাঠিচার্জ ও গুলি চালায় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয় কাঠমান্ডুসহ বীরগঞ্জ, ভৈরহাওয়া, পোখরা, বুটওয়াল, ইটাহারি ও দামকে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ, স্থগিত সব পরীক্ষা। রাজনৈতিক দলগুলির দপ্তরে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী।
সোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তে সবচেয়ে ক্ষুব্ধ নেপালের তরুণ প্রজন্ম। ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, এক্স-সহ জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। যদিও টিকটক, টেলিগ্রাম, ভাইবার-সহ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম চালু রয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘ উদ্বেগ (UNO) প্রকাশ করে জানিয়েছে, নেপালে শান্তি ফেরাতে সব রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসতে হবে। এদিকে বিরোধী দলগুলির দাবি, মৌলিক অধিকার খর্ব করে নাগরিকদের কণ্ঠ রোধের চেষ্টা করছে সরকার। পরিস্থিতি আরও অশান্ত হলে সরাসরি ওলির কুর্সি টলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।