‘বাংলার অর্থনীতিকে বদলে দিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, রাজ্যের প্রকল্পকে দরাজ সার্টিফিকেট RBI-র ডিরেক্টরের

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) রিজিওনাল ডিরেক্টর গলায় বাংলার প্রকল্পের সুখ্যাতি।

September 10, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:১৫: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) রিজিওনাল ডিরেক্টর গলায় বাংলার প্রকল্পের সুখ্যাতি। RBI-র রিজিওনাল ডিরেক্টর সুধাংশু প্রসাদের মতে, বাংলার অর্থনীতিকে অনেকটাই পালটে দিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। মঙ্গলবার বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে ব্যাঙ্ক-গ্রাহকদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রকল্পের দরাজ প্রশংসা করেন তিনি।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ডিরেক্টরের কথায়, “গোটা বাংলার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে গতি দিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। বাংলায় পাঁচ কোটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছেন লক্ষ্মীদিদিরা। সারা বছরে ব্যাঙ্কে ২৫ হাজার কোটি টাকা জমা পড়ছে। তাঁদের জন্য সব ব্যাঙ্ক ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিতে প্রস্তুত। মেয়েরা কখনও ঋণখেলাপি হয় না।” দশ বছরের পুরনো ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের জন্য ‘রি-কেওয়াইসি’ করার আবেদন নিয়ে সচেতনতামূলক এক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় এই দিন।

উল্লেখ্য, বাংলার সরকার ২০২১ সালে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পের আওতায়, মহিলারা প্রতি মাসে হাজার টাকা এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতি গোষ্ঠীর মহিলারা প্রতি মাসে ১,২০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পান। সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায় টাকা। ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দু’কোটি ১৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৭৫ জন মহিলা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের ব্যয় হয়েছে ৪৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ৬০ বছর বয়সের পর ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রাপকদের সরাসরি ‘বার্ধক্য ভাতা’ প্রকল্পে স্থানান্তরিত করা হয়। এখনও পর্যন্ত ছ’লক্ষ ৪ হাজার ৮৩৭ জনকে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-র থেকে ‘বার্ধক্য ভাতা’ প্রকল্পের আওতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen