পক্ষপাত-দুর্নীতি? কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধেই তদন্তের পক্ষে বার্তা সুপ্রিম কোর্টের
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি,১০:৪৫: রাজনৈতিক পক্ষপাত, তদন্তে ঢিলেমি, ভোটের আগে হঠাৎ সক্রিয়তা, এসব অভিযোগ বহুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে শোনা যাচ্ছে। সেই ইঙ্গিত এবার সরাসরি দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এক পুরনো মামলার শুনানিতে বিচারপতি পঙ্কজ মিথল ও বিচারপতি পি বি ভারালের বেঞ্চ জানাল, প্রশাসনের উপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে তদন্তকারীদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত।
২০০১ সালে সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর তথা প্রাক্তন দিল্লি পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার ও আর এক আধিকারিক বিনোদ কুমার পান্ডের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন ও ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে। ২০০৬ সালে দিল্লি হাইকোর্ট এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও মামলা নানা ধাপ পেরিয়ে ২০১৯ সালে খারিজ হয়ে যায়। পরে দু’জনই সুপ্রিম কোর্টে যান। এদিন শীর্ষ আদালত তাঁদের আর্জি খারিজ করে দিল এবং প্রায় আড়াই দশক পুরনো মামলায় এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিল।
আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল তদন্ত করবে এবং তিন মাসের মধ্যে সম্ভব হলে তদন্ত শেষ করতে হবে। নেতৃত্ব দেবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বা তার ঊর্ধ্বতন আধিকারিক। অভিযুক্তদের সহযোগিতা করতে হবে, তবে খুব প্রয়োজন না হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, অভিযোগ ওঠার পর এত বছরেও তদন্ত শুরু হয়নি। এর কারণ, অভিযুক্তরা সিবিআইয়ের শীর্ষ আধিকারিক। বিচারপতিদের মন্তব্য, এতে প্রশাসনের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়েও একাধিক সিবিআই আধিকারিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্রেপ্তার হন ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক। মে মাসে নার্সিং দুর্নীতি মামলায় ধরা পড়েন দুই তদন্তকারী অফিসার। ফলে শীর্ষ আদালতের এই মন্তব্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও তদন্তকারীদের দায়বদ্ধতার প্রশ্নে নতুন মাত্রা যোগ করল।