দলের ঊর্ধ্বে কেউ নন, কৃষ্ণনগর-পশ্চিম বর্ধমান নেতৃত্বকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যের পথে ফেরার বার্তা অভিষেকের

September 13, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

 

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ৯:০০: কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে শুক্রবার একাধিক সাংগঠনিক বৈঠকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “দলই সর্বাগ্রে। দলের ঊর্ধ্বে কেউ নন।” কৃষ্ণনগর ও পশ্চিম বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সামনে তিনি বারবার মনে করিয়ে দেন, দল আছে বলেই নেতারা আছেন।

কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার নেতাদের অভিষেক স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন-সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গত বছর মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে জেলার পাঁচ বিধায়ক সরব হওয়ার ঘটনা বৈঠকের আবহে ফিরে আসে। দলের ভেতরের ক্ষোভ যে অভিষেকের অজানা নয়, তা স্পষ্ট। বৈঠকে একাধিক বিধায়ক জানান, অভিষেক পরিষ্কার করে বলেছেন, মহুয়াকে জেলার প্রবীণ নেতৃত্বের সঙ্গে মিলেমিশে চলতে হবে।

এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র, জেলা চেয়ারপার্সন রুকবানুর রহমান, নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ, পলাশিপাড়ার মানিক ভট্টাচার্য, কৃষ্ণনগর দক্ষিণের উজ্জ্বল বিশ্বাস-সহ একাধিক নেতা।

পশ্চিম বর্ধমানের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠকে একই বার্তা দেন অভিষেক। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে, ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ে নামার নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জামুড়িয়ার হরেরাম সিং।

বৈঠক শেষে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, “দলের ভেতরের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে বুথ স্তরে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। সার রিভিশনকে সামনে রেখে প্রতিটি কর্মীর কাছে পৌঁছনোর কথা বলেছেন।” হরেরাম সিং বলেন, “যে এলাকাগুলিতে ভোটে পিছিয়ে ছিলাম, সেখানে বিধায়কদের বেশি করে যেতে বলা হয়েছে। আমি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছি।”

অভিষেক এদিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, লোকসভা ভোটে যেখানে দল খারাপ করেছে, সেখানে নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে। স্পষ্টতই বার্তা একটাই-ভেদাভেদ ভুলে, সংগঠনকে শক্ত করতে হবে, কারণ দলের স্বার্থই সবার আগে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen