Jal Jeevan Mission: জলেও বঞ্চনা! মোদী সরকারের কাছে বাংলার বকেয়া সাত হাজার কোটি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৫১: একশো দিনের কাজ, আবাস, সড়ক, সর্বশিক্ষা অভিযান একের পর কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে মোদী সরকার, এমনই অভিযোগ রাজ্যের। এবার জল জীবন মিশনেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার বাংলা। ‘জল জীবন মিশন’র সঙ্গে যুক্ত বাংলার হাজার হাজার ঠিকাদার, মিস্ত্রি, কর্মী, সরবরাহকারীরা প্রাপ্য পাচ্ছে না। আটকে থাকা টাকার পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি! রাজ্যের ঠিকাদারদের সংগঠন এবার নয়া দিল্লির বুকে আন্দোলন করার কথা ভাবছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯-র স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে দেশের প্রতিটি বাড়িতে স্বচ্ছ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘জল জীবন মিশন’ চালু করেছিলেন মোদী। কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই সরকার সমান অনুপাতে উক্ত প্রকল্পের খরচ দেয়। যাঁদের জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, সেই ঠিকাদাররাই নাকি গত এক বছর ধরে টাকা পাচ্ছে না। অভিযোগ, গত বছর পুজোর পর থেকে এই প্রকল্পে কাজের জন্য কোনও অর্থ পাননি রাজ্যের ঠিকাদাররা। বকেয়ার পরিমাণ ২,৫০০ কোটি টাকা। যে কাজের হিসাব এখনও হয়নি, তার পরিমাণ আরও প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে গত ১৩ মাসে কেন্দ্রের কাছে বাংলার ঠিকাদারদের বকেয়ার পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা।
রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরী মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় জলশক্তিমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে ঠিকাদারদের সংগঠন অল বেঙ্গল পিএইচই কন্ট্রাকটার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিভিল)। জেলা স্তরে হয়েছে আন্দোলনও। তাঁদের দাবি, পুজোর আগে যদি কোনওভাবে বকেয়ার কিছু অংশও পাওয়া যায়। বিভিন্ন মহাজন, সাপ্লায়ার, মিস্ত্রি, কর্মীরা কাজ করেছেন, কেউ টাকা পাননি বলে অভিযোগ। পুজোর আগে সামান্য কিছু টাকাও যদি পাওয়া যায়, এইটুকুই দাবি তাঁদের।
কালীপুজোর পর দিল্লিতে আন্দোলনের রূপরেখাও তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাক্ষাতের সময় চাওয়া, মন্ত্রকের সামনে বা যন্তর মন্তরে ধরনা দেওয়া, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেওয়া; এই ধরনের নানান কর্মসূচি রয়েছে সংগঠনের পরিকল্পনায়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনায় সম্মুখীন হয়ে উৎসবের মরশুমে মন খারাপ ঠিকাদারদের।