পুজোয় মাখনের মতো কোমল, উজ্জ্বল ত্বক – স্বপ্ন নয়, এখন আপনার হাতের মুঠোয়

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:২০: শরতের আকাশে-বাতাসে যেন উৎসবের আমেজ। এই আবহেই নতুন পোশাক, গয়না আর সাজসজ্জায় নিজেকে উজ্জ্বল করে তুলতে ব্যস্ত সবাই। কিন্তু যদি ত্বকই হয়ে ওঠে রুক্ষ ও খসখসে, তবে সেই সাজগোজে থেকে যায় এক অস্বস্তির রেশ। তাই পুজোর আগে চাই বাড়তি যত্ন, যাতে ত্বক থাকে মসৃণ, প্রাণবন্ত আর দীপ্তিময়।
কেন হয় ত্বক খসখসে?
ত্বকের রুক্ষতার পেছনে একাধিক কারণ থাকে।
কারও ক্ষেত্রে জেনেটিক সমস্যা, যেমন ইকথিয়োসিস।
ডায়াবিটিসের প্রভাবে রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে শরীরের তরল কমে যায়, ত্বকও হয়ে ওঠে শুষ্ক।
পর্যাপ্ত জল না খেলে ডিহাইড্রেশন থেকে আসে ত্বকের খসখসে ভাব।
শীত, শুষ্ক বাতাস, প্রচণ্ড রোদ, কড়া কেমিক্যাল মেশানো প্রসাধনী কিংবা নিয়মিত গরম জলে স্নানও কেড়ে নেয় ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা।
ভিটামিন এ, ডি, সি ও ই-র ঘাটতিও এই সমস্যার বড় কারণ।
আবার সোরিয়াসিস বা এগজিমার মতো চর্মরোগে ত্বক আরও রুক্ষ হয়ে পড়ে।
শরীরের অভ্যন্তরীণ যত্ন জরুরি:
ত্বক সুন্দর রাখতে হলে প্রথমেই চাই শরীরের ভেতর থেকে যত্ন।
দিনে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন।
ডায়াবিটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণও সমান জরুরি।
দৈনন্দিন রুটিনে রাখুন এই অভ্যাস:
স্নানের সময় গরম নয়, হালকা উষ্ণ জল ব্যবহার করুন।
হার্শ (Harsh) সাবান বা কেমিক্যাল-সমৃদ্ধ ক্লেনজ়ারের বদলে বেছে নিন মাইল্ড ক্লেনজ়ার।
স্নানের পরই হালকা ময়শ্চারাইজার লাগান, যাতে আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়।
ঘরোয়া উপায়েও মিলবে স্বস্তি- নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, মধু, ওটমিল কিংবা অ্যালোভেরা ত্বককে রাখবে নরম, কোমল আর দীপ্তিময়।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
ত্বকের সমস্যা যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বা বারবার ফিরে আসে, তবে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
উৎসব মানেই আলো, রঙ, আনন্দ আর অঢেল হাসি। তার সঙ্গে যদি ত্বকও হয়ে ওঠে ঝলমলে ও মোলায়েম, তবে পুজোর সাজও নিখুঁতভাবে সম্পূর্ণ হয়। তাই খসখসে নয়, নিয়মিত যত্নেই হোক পুজোর উজ্জ্বল রূপের আসল রহস্য।