মহিষাসুরমর্দিনী দিয়েই কেন মহালয়ার সূচনা? জেনে নিন নেপথ্যের কাহিনি

September 15, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৫৬: পিতৃপক্ষের শেষে দেবীপক্ষের সূচনা। মহালয়ার দিন ভোরে দূরদর্শন কিংবা আকাশবাণীর তরঙ্গে ভেসে আসে “মহিষাসুরমর্দিনী”-র গীতি-আলেখ্য।বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহালয়ার বাণীচলচ্চিত্র, চণ্ডীপাঠ, স্তোত্রপাঠ মানে বাঙালির কাছে একটা আলাদা আবেগ। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, দেবী দুর্গার এই বিশেষ রূপকে কেন আমরা মহিষাসুরমর্দিনী বলি?

পুরাণে উল্লেখ আছে, অসুররাজ মহিষাসুর কঠোর তপস্যা করে ব্রহ্মার কাছ থেকে অমরত্বের বর চেয়েছিলেন। দেবতা, দানব বা মানুষ কেউই যেন তাঁকে হত্যা করতে না পারে, এই আশীর্বাদে তিনি পেলেন অপ্রতিরোধ্য শক্তি। এর ফলে স্বর্গলোক থেকে দেবতাদের তাড়িয়ে দিলেন মহিষাসুর। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল অশান্তি, অন্যায় ও অত্যাচার।

তখন দেবতারা শক্তির আরাধনা করে এক নারীমূর্তি সৃষ্টি করলেন। তাঁদের শক্তি মিলেই জন্ম নিলেন দেবী দুর্গা। সিংহবাহিনী সেই দেবী দশ দিন ধরে যুদ্ধ করে অবশেষে অসুররাজ মহিষাসুরকে বধ করেন। সেই থেকে তিনি হলেন “মহিষাসুরমর্দিনী”, অর্থাৎ মহিষাসুরকে মর্দনকারী।

১৯৩১ সালে আকাশবাণীতে প্রথম সম্প্রচারিত হয়েছিল “মহিষাসুরমর্দিনী”। পটভূমিতে দেবী দুর্গার আগমনের কাহিনি, চণ্ডীপাঠ, সংস্কৃত স্তোত্র ও সংগীতের মেলবন্ধন হয়ে উঠল অনন্য ঐতিহ্য। ধীরে ধীরে মহালয়ার ভোর মানেই হয়ে গেল বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনীর ধ্বনি।

দুর্গাপুজোর সূচনা হয় মহালয়া দিয়ে। দেবীর আগমন বার্তা বহন করে এই দিন। মহিষাসুরমর্দিনী রূপকেই দেবীর সর্বশক্তিমান প্রতীক হিসাবে ধরা হয় – ন্যায় অন্যায়ের লড়াইয়ে জয়ের প্রতীক। তাই বাঙালি মনে মহালয়া আর মহিষাসুরমর্দিনী নাম দুটি একে অপরের সমার্থক হয়ে গিয়েছে।

অর্থাৎ, মহিষাসুর বধকে কেন্দ্র করেই দেবী দুর্গার সর্বশক্তিময়ী রূপকে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ বলা হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen