Antibiotics-র বেপরোয়া ব্যবহারে বিপদ! শুধুমাত্র হাসপাতাল থেকেই বিক্রির পরামর্শ ICMR-এর

September 17, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২২:৪০: অ্যান্টিবায়োটিকের বেপরোয়া ব্যবহারে বাড়ছে বিপদ! সম্প্রতি ভারতের শীর্ষ স্বাস্থ্যগবেষণা সংস্থা ICMR (Indian Council of Medical Research) সুপারিশ করেছে, নতুন অ্যান্টিবায়োটিক যেন সাধারণ রিটেইল ফার্মেসিতে বিক্রি না হয়ে শুধুমাত্র নির্বাচিত হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে সরবরাহ করা হয়। Journal of Global Health-এ প্রকাশিত ICMR-এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR) সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এই পরামর্শ উঠে এসেছে।

AMR বা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তখনই ঘটে, যখন জীবাণু- যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাস- ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ফলে সাধারণ সংক্রমণও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। WHO ইতিমধ্যেই AMR-কে বিশ্ব জুড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ICMR-এর তথ্য অনুযায়ী, Klebsiella pneumoniae-র ক্ষেত্রে কার্বাপেনেমের প্রতি প্রতিরোধের হার ৬২.৩%। E. coli-র ক্ষেত্রেও ইমিপেনেম ও পাইপেরাসিলিন-টাজোব্যাকটামের বিরুদ্ধে প্রতিরোধগত প্রবণতা গত ছয় বছরে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।

GRAM (Global Research on Antimicrobial Resistance)-এর গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারতে AMR-জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ থেকে ১০.৪ লক্ষ মানুষের। মাত্র ছয়টি ‘সুপারবাগ’-এর সংক্রমণেই মৃত্যু হয়েছে ২.১৪ লক্ষের বেশি।

অপব্যবহারের কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, প্রেসক্রিপশন ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিকের সহজলভ্যতা, অযথা প্রেসক্রিপশন, ফার্মাসিস্ট ও চিকিৎসকদের অবহেলা এবং নিয়ন্ত্রণের অভাব।

২০১১ সালের National Policy for Containment of AMR, Schedule H1, ওষুধে ‘রেড লাইন’ প্রচার এবং National List of Essential Medicines-এ সংশোধন- সবই হয়েছে, কিন্তু প্রয়োগে কড়াকড়ি না থাকায় ফল মিলেছে সীমিতভাবে।

ICMR-এর মতে, নতুন অ্যান্টিবায়োটিক রিটেইলে এলে তা অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যবহৃত হবে, ফলে দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে উঠবে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে রোগীর পর্যবেক্ষণ, কালচার ও সেনসিটিভিটি রিপোর্ট, প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ভিত্তিতে ওষুধ প্রয়োগ এই মডেল টিবি চিকিৎসায় সফল হয়েছে, তাই নতুন অ্যান্টিবায়োটিকেও একই কড়াকড়ি প্রয়োজন।

*WHO অ্যান্টিবায়োটিককে ভাগ করেছে তিন শ্রেণিতে:*

– Access: নিরাপদ ও সস্তা, প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত
– Watch: উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ, হাসপাতাল-স্তরে সতর্কতা প্রয়োজন
– Reserve: শেষ ভরসা, বহুমুখী-প্রতিরোধী সংক্রমণের জন্য

২০২৪-এর সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ভারতের প্রেসক্রিপশনের ৫৭% অ্যান্টিবায়োটিকই Watch বা Reserve শ্রেণির- যা বেশি নিয়ন্ত্রণ দাবি করে। তাই ICMR-এর সুপারিশ করেছে যে, নতুন অ্যান্টিবায়োটিক শুধুমাত্র হাসপাতাল-নোডে সরবরাহ করতে হবে, কড়া নজরদারি ও রিপোর্টিং করা দরকার, AMR stewardship কার্যক্রম এবং দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারিতা রক্ষায় নিয়ন্ত্রিত প্রয়োগও প্রয়োজন।

রিটেইল-অ্যাক্সেস সীমিত হলে গ্রামীণ ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়তে পারে। তাই হাসপাতাল নেটওয়ার্ক শক্ত করা, সরকারি ও প্রাইভেট ফার্মেসির সক্ষমতা বাড়ানো, মনিটরিং, ল্যাব সংযোগ ও চিকিৎসা রেকর্ডিং নিশ্চিত করা প্রভৃতি পদক্ষেপগুলো জরুরি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen