পুজোমণ্ডপ উদ্বোধনেও পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী, কী বললেন মমতা?
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:০০: শনিবার শহরের একাধিক দুর্গাপুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতিবাগান সর্বজনীন, টালা প্রত্যয় থেকে শ্রীভূমি স্পোর্টিং- নানা মণ্ডপে প্রদীপ জ্বালিয়ে মন্ডপ উদ্বোধন করেন তিনি। তবে উৎসবের আবহেও ভিনরাজ্যে বাঙালিদের ওপর অত্যাচার এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গ ভুললেন না মুখ্যমন্ত্রী।
শ্রীভূমির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, “বাংলায় কথা বললেন অত্যাচার করা হবে, এই বিষয়ের সঙ্গে আমি কখনই একমত নই। আমি সব ভাষাকে সম্মান করি। যে যার মাতৃভাষাকে সম্মান করুক, সমস্যা নেই। কিন্তু বাংলায় কথা বললে অত্যাচার করা হবে এটা হতে পারে না।”
এরপরই পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, “রাজ্যের শ্রমিকদের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় কারণ তারা দক্ষ, ট্যালেন্টেড। ২২ লক্ষ বাইরে কাজ করে, আর রাজ্যে দেড় কোটি মানুষ কাজ করেন।” এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে দেশকে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত কয়েক মাস ধরেই তৃণমূল অভিযোগ তুলছে, ভিনরাজ্যে বাঙালিদের নানা অজুহাতে হেনস্থা করা হচ্ছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন, বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা দিয়ে অত্যাচার করা হচ্ছে। সেই ইস্যুই ফের সামনে আনলেন তিনি।
এদিন বৃষ্টির মধ্যেই হাতিবাগান সর্বজনীনের প্যান্ডেলে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধনের আগে তিনি স্পষ্ট করে দেন, “আমি কেবল মণ্ডলের উদ্বোধন করছি। মহালয়ার আগে আমি মাতৃমূর্তি উদ্বোধন করি না। আজকে আমি প্যান্ডেল উদ্বোধন করতে এসেছি।”
সূত্রের খবর, রবিবার নাকতলা উদয়ন সংঘ, ৯৫ পল্লি, যোধপুর পার্ক, বাবুবাগান এবং চেতলা অগ্রণীর মতো বড় মণ্ডপের উদ্বোধনে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ২২ সেপ্টেম্বর আলিপুর সর্বজনীন থেকে শুরু করে কালীঘাট মিলন সংঘ পর্যন্ত একাধিক পুজো মণ্ডপে তাঁর যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে। আর ২৩ সেপ্টেম্বরের তালিকা আরও বিস্তৃত- মুদিয়ালি, সমাজসেবী, বালিগঞ্জ কালচারাল, ত্রিধারা, ৬৬ পল্লি, একডালিয়া, সিংহী পার্ক-সহ শহরের বহু নামকরা পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করবেন তিনি।