গভীর সংকট! ইউনুস প্রশাসনের এক বছরে মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:০০: গভীর সংকটে বাংলাদেশ! ওপার বাংলায় রাজনৈতিক পালাবদলের এক বছর পূর্ণ হলেও অর্থনৈতিক সূচকে আশার আলো নেই। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা এবং শেয়ার বাজার-তিনটি স্তম্ভেই ধস নেমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, জুন ২০২৫ পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছুঁয়েছে ৬ লক্ষ কোটি টাকা। এর বাইরে আরও ৩.১৮ লক্ষ কোটি টাকার হিসাব নেই। এশিয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের (ADB) মতে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই খেলাপি ঋণের হার সর্বোচ্চ-২০২৪ সালে বিতরণকৃত ঋণের ২০.২% মেটানো হয়নি।
২০টি ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার মধ্যে ৮৩% ঋণ খেলাপি। মোট ঋণ ২৫,৮০৮ কোটি টাকার বিপরীতে বন্ধক রাখা সম্পদ মাত্র ২৬%। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যে ৯টি সংস্থা বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরানো যায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য বলছে, ৩৯৭টি তালিকাভুক্ত সংস্থার মধ্যে ৯৮টির শেয়ারের দাম ১০ টাকার নিচে, যার অর্ধেকের দাম ৫ টাকারও কম। গত ১৬ বছরে বাজার ৩৮% সঙ্কুচিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ‘জাঙ্ক শেয়ার’-এর আধিক্যে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা করেছেন ইউনুস, তবে তার আগে নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলছে একাধিক সংস্কার। রাজনৈতিক মহলের মতে, শেখ হাসিনার ভোটাধিকার বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রতিহিংসার প্রতিফলন।
ADB ও অন্যান্য সংস্থার মূল্যায়নে স্পষ্ট, ইউনুস প্রশাসনের সংস্কার প্রয়াস এখনও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে পারেনি। রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি এবং দুর্বল নীতিনির্ধারণের ফলে বাংলাদেশ আরও গভীর সংকটের দিকে এগোচ্ছে।