আবাসনের পুজোতেও থিমের ছোঁয়া

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:২৫: ফ্ল্যাট, আবাসনের ঘেরাটোপে আটকে পড়া জীবনে একটা দমকা বাতাসের মতো হাজির হয় দুর্গোৎসব। আবাসনের পুজোতেই এখন পাওয়া যায় যৌথ পারিবারিক পুজোর মেজাজও। সারাবছর নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত সকলে বৃহত্তর এক পরিবার হয়ে মেতে ওঠে মাতৃ আরাধনায়। এবছর আবাসনের পুজোতেও থিমের ছোঁয়া রয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম বিস্ময়কর স্থাপত্য প্যারিসের আইফেল টাওয়ারকে এবার মণ্ডপের থিম হিসেবে তুলে ধরছে মহেশতলার ইডেন সিটি আবাসনের আবাসিকরা। গোটা মণ্ডপটাই স্টিলের পাত দিয়ে আইফেল টাওয়ারের হুবহু অনুকরণে তৈরি হচ্ছে। উচ্চতা ২০০ মিটার। ইডেন সিটির ভিতর বিশাল মাঠেই তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। পুজো কমিটির তরফে জানা গিয়েছে, এবার তাঁদের মাতৃ-আরাধনা ১৪ বছরে পা দিল। বাজেট ৩৭ লাখ টাকা। পুজোর একটা দিন আবাসিকরাই সকলে মিলে গান-বাজনার অনুষ্ঠান করবেন। আর একটি দিন বাইরের শিল্পীদের আনা হবে। এছাড়া পুজোর ক’টা দিন বিভিন্ন সংস্থা আবাসন চত্বরে বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড করবে। খাবারদাবারের স্টলও থাকবে অনেক। এছাড়া আবাসিকদের জন্য পুজোর চারদিনই কমিউনিটি লাঞ্চের ব্যবস্থা থাকবে।
প্রতি বছরের মতো এবছরও রীতিমতো জাঁকজমকপূর্ণভাবে মাতৃ আরাধনায় মেতে উঠেছে সোদপুরের মার্লিন ম্যাক্সিমাস। পুজোর সভাপতি ডাঃ মানস সোম জানান, পুজোর দিনগুলিতে সকলে মিলে একটা বৃহত্তর পরিবারের মতো একসঙ্গে আনন্দে মেতে উঠি। ষষ্ঠী থেকে নবমী—চারদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন আবাসিকরা। পুজোর দিনগুলি ও বিজয়া সম্মিলনীতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করবেন আবাসিকরা। মণ্ডপে রাখা থাকবে ‘কল্পতরু’ নামে একটি বাক্স। সেখানে স্বেচ্ছায় নতুন জামাকাপড় দিতে পারবেন আবাসনের সদস্যরা। পুজোর পর বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হবে সমস্ত জামাকাপড়।
বারাসতের ম্যাগনোলিয়া ফ্যান্টাসিয়া অধিবাসীবৃন্দের পুজো আবার বয়সে নবীন হলেও উৎসাহে কোনও খামতি নেই উদ্যোক্তাদের। এবার তাঁদের দ্বিতীয় বছরের পুজো। ৬০০টি ফ্ল্যাটের মধ্যে এখন আবাসিক রয়েছে ২০০টিতে। আবাসন চত্বরেই রয়েছে ‘মুক্তমঞ্চ’। সেখানেই বাঁধা হয়েছে মণ্ডপ। পাশেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা মঞ্চ তৈরি হয়েছে। ষষ্ঠীতে সেখানে বাউল সন্ধ্যার আয়োজন।