‘গণতন্ত্রের খারাপতম রূপ’, সোনমের গ্রেপ্তারিতে BJP-কে তোপ স্ত্রী গীতাঞ্জলির

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৪৩: রাজ্য মর্যাদার দাবিতে উত্তাল হয় লাদাখ। ‘গণবিক্ষোভে’ উসকানির অভিযোগে আন্দোলনের প্রধান মুখ তথা সোনম ওয়াংচুককে (Sonam Wangchuk) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবার গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে সরব হলেন তাঁর স্ত্রী গীতাঞ্জলি আংমো (Gitanjali Angmo)। সোনমের গ্রেপ্তারিকে ‘গণতন্ত্রের সবচেয়ে খারাপ রূপ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
গীতাঞ্জলি জানান, পুলিশ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না-করে সোনমকে হেপাজতে নিয়েছে। সোনমের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। তাঁকে দেশবিরোধী হিসাবে দাগিয়ে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছে। এটি গণতন্ত্রের সবচেয়ে খারাপ রূপ। কোনও কারণ ছাড়াই, সোনমকে একজন অপরাধীর মতো ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক এবং পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিয়ে যাঁরা কথা বলছেন, গেরুয়া শিবির ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের কণ্ঠস্বর রোধ করছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করছে শাসকদল। যারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন, তাঁদের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য সরকার যা খুশি তাই করছে।” তিনি আরও বলেন “আমি সরকারের প্রতিনিধিদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, তাঁরা টেলিভিশনে আমার সঙ্গে বিতর্কসভায় অংশগ্রহণ করুন।”
লাদাখে ‘গণবিক্ষোভে’র পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিবৃতি জারি করে সোনমকে কাঠগড়ায় তুলেছিল। সোনমের শিক্ষামূলক সংস্থার বিদেশি তহবিল গ্রহণের অনুমোদন বাতিল করে কেন্দ্র। আগেই তাঁর সংস্থার জমির লিজ বাতিল হয়। তদন্তে নামানো হয় মোদী-শাহের প্রিয় অস্ত্র সিবিআইকে।
শুক্রবার সোনম ওয়াংচুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের উসকানি এবং হিংসায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা ছিল সোনমের। সাংবাদিক সম্মেলনের পাঁচ মিনিট আগে তিনি গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারি পর সোনমকে লাদাখ থেকে রাতারাতি সরিয়ে ফেলা হয়। ১৪০০ কিলোমিটার দূরে রাজস্থানের যোধপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই আইনে কেবল সন্দেহের বশে সন্দেহভাজনকে দিনের পর দিন আটকে রাখা যায়। সোনমের গ্রেপ্তারির পর লেহ-তে যাতে অশান্তি না-ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে শহরের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোনওরকম জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।