নাগেরবাজারের পুজো মণ্ডপে আচমকাই হাজির অভিষেক! প্রতিমা দর্শনের পর পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে কথা বললেন, আশ্বাস দিলেন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৪৫: দমদম নাগেরবাজারের জ’পুর জয়শ্রীর পুজো মণ্ডপে এবারে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে তাদের বাঙালি হওয়ার কারণে উৎপীড়নের কাহিনী তুলে ধরা হয়। তাঁদের এই উৎপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হয় মাদুর্গার কাছে। অষ্টমীর দুপুরে আচমকাই সেখানে হাজির তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তাঁর ছোট্ট মেয়ে। মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনের পর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। শ্রমিকদের যন্ত্রণা, ভিনরাজ্যে কাজের কষ্ট, সংসারের টানাপোড়েন—সব মন দিয়ে শুনলেন অভিষেক।
শ্রমিকদের উদ্দেশে বললেন, “আমার ফোন নম্বর তোমাদের কাছে আছে। দরকারে সরাসরি ফোন করবে। ভিনরাজ্যে ফেরত যাওয়ার দরকার নেই। আমার ওপর ভরসা রাখো। এখানে খাওয়াদাওয়া, সংসার চালানোয় সমস্যা হবে না। সরকার তোমাদের পাশে আছে।”
কথার মাঝেই খোঁজখবর নিলেন—কার ঘরে কতজন ছেলে-মেয়ে, তারা কী পড়ছে, কোন সরকারি প্রকল্পে সুবিধে পাচ্ছে। আশ্বাস দিলেন, বাকি সুবিধাগুলোও দ্রুত পৌঁছে যাবে। এরপর মেয়েকে নিয়ে অভিষেক সামনের দিকে এগোতেই শ্রমিকদের মধ্যে থেকে কেউ একজন হেসে বললেন, “দাদা, ফুচকা খাবেন?” মুহূর্তেই হালকা হয়ে গেল পরিবেশ। রাজি হয়ে গেলেন অভিষেক। সঙ্গে মেয়েকে নিয়েই দাঁড়িয়ে পড়লেন ফুচকার লাইনে । পাশে দল বেঁধে পরিযায়ী শ্রমিকেরা। চোখের সামনে রাজনৈতিক নেতা নয়, যেন এক সাধারণ বাবা—তেঁতুলজলে ডুবিয়ে ফুচকা মুখে তুলছেন। অভিষেককে ফুচকা খাওয়াতে পেরে খুশি ফুচকা বিক্রেতাও। পরে বললেন, “ওনাকে টিভির পর্দায় দেখি, আজ সামনে থেকে দেখলাম। নিজেকেই এখন সেলিব্রিটি মনে হচ্ছে।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী ছিলেন সাংসদ সৌগত চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক নির্মল ঘোষ, বিধায়ক অদিতি মুন্সি। মন্ডপ পরিদর্শন করে বাইরে অপেক্ষায় থাকা একদল যুবকের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। তাঁদের সমস্যা নিয়ে সমাধানের আশ্বাসও দেন। সেইসঙ্গে সামনে ব্যারিকেডের ওপারে অপেক্ষা করা দর্শনার্থীদের ‘একবার দেখা করা’র ডাকেও সাড়া দেন তিনি। মন্ডপের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এক ফুচকাওয়ালার থেকে ফুচকা খেলেন অভিষেক। এমনকি ফুচকা খাওয়ার শেষে ফুচকাওয়ালা যুবকের আবদার মিটিয়ে তাঁর সঙ্গে সেলফিও তুললেন। কার্যত অষ্টমীর পুজোর আনন্দের সঙ্গে পুরোপুরি মিশে গেলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।