মমতার অভিযোগ উপেক্ষা করে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল DVC! আন্দোলনের হুঁশিয়ারি তৃণমূলের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৪৪: পুজোর মরসুমে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের (DVC) জল ছাড়া নিয়ে ফের উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অভিযোগ করেছেন, রাজ্যকে না জানিয়েই একতরফা ভাবে জল ছেড়েছে ডিভিসি, যার ফলে নিচু এলাকায় জল জমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার এক্স-এ (পূর্বতন টুইটার) তিনি লেখেন, “ডিভিসি-র ইচ্ছাকৃত জল ছাড়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গকে প্লাবিত করার ষড়যন্ত্র চলছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “ডিভিসি-র একতরফা ও ইচ্ছাকৃত জল ছাড়ার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যা নাগাদ তারা মাইথন ও পাঞ্চেতসহ একাধিক বাঁধ থেকে ১,৫০,০০০ কিউসেকেরও বেশি জল ছেড়েছে, যার ফলে উৎসবের সময় পশ্চিমবঙ্গকে প্লাবিত করার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।”
তিনি এই ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ করে লেখেন, “এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের কষ্ট বাড়ানো হচ্ছে, যখন তারা এখনও পুজোর আনন্দে মগ্ন। এই আচরণ লজ্জাজনক, অসহনীয় এবং সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য! আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই!!
The latest update on the unilateral and wilful release of water by DVC is that they have by the evening today released more than 150,000 cusecs of water from Maithon and Panchet dams etc to flood our West Bengal during festival times. This is a deliberate ploy to unleash disaster…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 3, 2025
ডিভিসি ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির জেরে শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে ডিভিসি। মমতা অভিযোগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ৬৫ হাজার কিউসেক, মাইথন থেকে ৪২,৫০০ কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ২৭,৫০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। পরে জানা যায়, মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে ৭০ হাজার কিউসেক করা হয়েছে।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে অভিযোগ, “না জানিয়ে জল ছেড়ে বাংলাকে ডোবানোর চেষ্টা করছে ডিভিসি।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, লক্ষ লক্ষ মানুষের কষ্ট বাড়ানোর উদ্দেশ্যে।” তৃণমূল (TMC) সূত্রে খবর, লক্ষ্মীপুজোর পরেই বড়সড় আন্দোলনে নামবে দল। ডিভিসির অফিস ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত জুন-জুলাই মাসেও ডিভিসির জল ছাড়ার ফলে বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি-সহ একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ও মুখ্যমন্ত্রী ডিভিসির বিরুদ্ধে না-জানিয়ে জল ছাড়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। সম্প্রতি ডিভিসির জলাধার নিয়ন্ত্রণ কমিটি থেকে রাজ্যের দুই প্রতিনিধি পদত্যাগ করেছেন। শ্রমিক সংগঠন ইউটিইউসি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে।