মৎস্য চাষে ডিজিটাল বিপ্লব! বড় জলাভূমিতে ই-অকশান চালু করল রাজ্য

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৪০: এবার ডিজিটাল বিপ্লবের সূচনা বাংলার মাছ চাষে (Fish farming)। রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে, পাঁচ একরের বেশি সরকারি বা খাস জলাভূমিতে মাছ চাষের জন্য চালু হচ্ছে ই-অকশান (eAuction) ব্যবস্থা। এতদিন দরপত্রের মাধ্যমে মাছ চাষের অনুমতি দেওয়া হলেও এবার অনলাইন নিলামের মাধ্যমে আরও স্বচ্ছ ও আধুনিক পদ্ধতিতে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এর ফলে রাজ্যের মৎস্য উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনই রাজস্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনাও তৈরি হবে।
মৎস্য চাষে এই পরিবর্তনের ভিত্তি ১৯৯১ সালের পশ্চিমবঙ্গ ভূমি ও ভূমি সংস্কার ম্যানুয়ালের সংশোধন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে গঠিত ‘কমিটি অব মিনিস্টার্স’-এর (Committee of Ministers) সুপারিশে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ একরের বেশি জলাভূমি লিজ দেওয়ার ক্ষেত্রে বার্ষিক এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত অঙ্ক হলে জেলা স্তরের কমিটিই অকশান পরিচালনা করতে পারবে- যেখানে আগে এই সীমা ছিল মাত্র ৫০ হাজার টাকা।
এই ই-অকশানে প্রথমবারের মতো মাছ চাষে আগ্রহী নতুন শিল্পোদ্যোগীরাও অংশ নিতে পারবেন। পাশাপাশি ফিশারম্যান কোঅপারেটিভ, ফিস প্রোডাকশন গ্রুপ এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বাধীন কমিটিতে এবার ক্ষুদ্র সেজ দপ্তরের একজন আধিকারিকও যুক্ত থাকবেন, কারণ অনেক খালও মৎস্য চাষের কাজে ব্যবহৃত হয়।
মৎস্য দপ্তর ইতিমধ্যেই একটি পৃথক অনলাইন পোর্টাল তৈরির কাজ শুরু করেছে, যেখানে এই ই-অকশান পরিচালিত হবে। প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ শুধু মাছ চাষকে আধুনিক ও স্বচ্ছ করবে না, বরং রাজ্যের জলাশয় ব্যবস্থাপনাও হবে আরও কার্যকর। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, এই উদ্যোগের ফলে রাজ্যে গড়ে উঠবে আরও স্বনির্ভর চাষি, বাড়বে উৎপাদন, এবং জলাভূমির সদ্ব্যবহার নিশ্চিত হবে।