জল ছাড়ার পরিমাণ কমাল DVC, তৃণমূলের অবস্থানের জের?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:২২: জল ছাড়ার পরিমাণ কমাল দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (DVC)। মঙ্গলবার সকালে ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। পাঞ্চেত (Panchet) থেকে ছাড়া হচ্ছে ২৩ হাজার কিউসেক জল, মাইথন (Maithon) থেকে ছাড়া হচ্ছে ১২ হাজার কিউসেক জল। রাজ্যকে না জানিয়ে বার বার জল ছাড়ার অভিযোগ ওঠে ডিভিসির বিরুদ্ধে। একাধিকবার সরব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, রাজ্যকে না-জানিয়ে জল ছাড়ার প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার মাইথনে ডিভিসি-র দপ্তরের সামনে অবস্থান বসছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্বে। রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর মতো জেলার প্রথম সারির নেতারা এই কর্মসূচিতে থাকতে পারেন বলে খবর।
পুজোর মরশুমে দশমীতে ডিভিসি বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কেন রাজ্য সরকারকে না-জানিয়ে ডিভিসি জল ছেড়েছে, শুক্রবার প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জল ছাড়ার পরিসংখ্যানও উল্লেখ করেন। সমাজ মাধ্যমে মমতা অভিযোগ করেন, মোদীর সরকারের অধীনস্থ ডিভিসি ‘ইচ্ছাকৃত এবং একতরফাভাবে’ জল ছেড়ে বাংলাকে বিসর্জন দেওয়ার চক্রান্ত করছে।
শুক্রবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ডিভিসি কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছেন। উৎসবের মরশুমে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। শিলাবতী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে ঘাটাল মহকুমার বেশ কিছু এলাকা। চন্দ্রকোনা, ঘাটাল ছাড়াও ঘাটাল পুরসভার ১২টি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল।
জল ছাড়া নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্য সংঘাত দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এবার ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ কমানোয় স্বস্তিতে প্রশাসনও। জল ছাড়ার পরিমাণ কমানোর জেরে আপাতত হাওড়া, হুগলির দামোদর তীরবর্তী নিম্ন অববাহিকা এলাকায় নতুন করে জল জমার সম্ভাবনা নেই।