ত্রিপুরায় তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা, ‘রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাস’-এর অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:২৭: ত্রিপুরার আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতা থেকে কড়া বার্তা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। তাঁদের অভিযোগ, “ত্রিপুরার ঘটনা রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাস। আগেরবার তৃণমূল নেতৃত্বকে খুন করার প্ল্যান করেছিল। আমরা নজর রাখছি। যদি এবারও কিছু হয় তাহলে গান্ধীবাদ ছেড়ে সুভাষবাদ ধরতে হবে।”
বুধবার তৃণমূল ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তাঁদের বক্তব্য, “ত্রিপুরার অসহিষ্ণু সরকার সেখানে গণতন্ত্র ধ্বংস করছে। পুলিশের উপস্থিতিতে ভাঙচুর করা হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস। ফ্লপ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এর কেন্দ্র। পুলিশ বসে সবটা দেখছে এই গণতন্ত্রের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব উস্কানি দিয়েছে। এটা পুরোপুরি স্টেট স্পনসরড পলিটিক্যাল টেররিজম। আর পুলিশ দর্শক।”
তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট বার্তা, “তৃণমূল কংগ্রেস গড়ে উঠেছিল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। গণতন্ত্র যখনই বিপন্ন হয়েছে, আমরা লড়াই করেছি। এবারও ব্যতিক্রম হবে না।” তাঁরা আরও বলেন, “এরাজ্যের বুকে বিজেপির পার্টি অফিস আছে, কোনও আক্রমণ হয় না। কেও আক্রান্ত হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে যান। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব পেয়েছেন তাই স্কোর কার্ড বাড়ানোর বিপ্লব দেব প্ল্যান করে এই আক্রমণ করেছে। আগেরবার তৃণমূল নেতাদের খুন করার প্ল্যান করেছিল। এবারও কিছু হলে গান্ধীবাদ ছেড়ে সুভাষবাদ ধরতে হবে।”
এদিকে ত্রিপুরায় পৌঁছেই সমস্যার মুখে পড়েছেন তৃণমূলের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, তাঁদের জন্য নির্ধারিত চারটি গাড়ির মধ্যে তিনটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি গাড়িতে একসঙ্গে সকলকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবত অসম্ভব। কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “ব্যাগ গাড়িতে পাঠিয়ে হেঁটে যাবেন” বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।