বদলে গেলো ফাটাকেষ্টর কালী মায়ের রূপ

মায়ের মুখের আদল একদম আগের মতন একইরকম তৈরি করা সম্ভব নয়। তবু তিনি নিজের ঘরানায় কিছু নতুনত্ব এনেছেন শিল্পী। যা দেখে ক্লাব সদস্যরা খুশি। ১৫ ফুট উচ্চতার নীলবর্ণের প্রতিমা, মুকুটসহ উচ্চতা প্রায় ১৭ ফুট।
পুজোর ইতিহাস:
ফাটাকেষ্টর কালীপুজোর ইতিহাসও কম রোমাঞ্চকর নয়। একসময় সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের ডন কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত, যিনি ফাটাকেষ্ট নামে পরিচিত ছিলেন, শুরু করেছিলেন এই পুজো। তাঁর দাপটে পুজো মণ্ডপে হাজির হতেন উত্তমকুমার থেকে অমিতাভ বচ্চনের মতো তারকারাও। এমনকি রাজনীতি ও আন্ডারওয়ার্ল্ড দুই জগতেরই প্রভাব মিলেমিশে থাকত এই উৎসবে। সেই সময় সোমেন মিত্রর পুজোর সঙ্গে ছিল ঠান্ডা প্রতিদ্বন্দ্বিতা। একবার নকশাল আন্দোলনের অস্থির শহরেও যেখানে সোমেনের পুজোর প্রতিমা আটকে যায়, সেখানে ফাটাকেষ্টের ঠাকুর নির্বিঘ্নে পৌঁছে যায় মণ্ডপে।
১৯৯২ সালে ফাটাকেষ্টর মৃত্যু হলেও প্রাচীন কলকাতার এই জাঁকজমকপূর্ণ পুজো বন্ধ হয়নি। বহর কমলেও এখনও মিছিল করে প্রতিমা আনা ও বিসর্জন দেওয়ার ঐতিহ্য বজায় আছে। সময় বদলেছে, জাঁকজমক কিছুটা কমেছে, কিন্তু ফাটাকেষ্টর কালীপুজো এখনো মহানগরের ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।