পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উত্তরের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার, মিরিক সফরের আগে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৪৯: বন্যা ও ভূমিধসের কারণে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ। পুনর্গঠনের কাজ খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজ পর্যবেক্ষণে বেশ কয়েকদিনের কর্সূমচি রয়েছে তাঁর।আজ সকালে এক টুইটে তিনি জানিয়েছেন, হাশিমারা, নাগরাকাটা, চালসা, মাল এবং কার্শিয়ং পরিদর্শনের পর আজ তিনি মিরিকের বিপর্যস্ত অঞ্চলগুলিতে যাচ্ছেন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। আগামীকাল দার্জিলিং, কালিম্পং এবং মিরিক নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠক ডাকার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
নাগরাকাটায় তাঁর সফরের সময় বামনডাঙ্গা ও টান্ডু ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিশ্চিত করেন, খাদ্য, আশ্রয় ও চিকিৎসা পরিষেবা যেন নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছায়। গাথিয়া নদীর উপর ক্ষতিগ্রস্ত তানাতানি সেতুর সংস্কার কাজ পর্যালোচনা করেন তিনি এবং পরে পরিদর্শন করেন কালিখোলা সেতু, যা ইতিমধ্যেই পূর্ত দপ্তরের উদ্যোগে পুনর্গঠিত হয়েছে।
তিনি লেখেন, “নাগরাকাটার বামনডাঙা ত্রাণ শিবিরে, আমি বন্যাদুর্গত পরিবারের সদস্যদের হাতে হোম গার্ডের নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছি। মোট দশজন উপভোক্তা এই নিয়োগপত্র পেয়েছেন। যেসব পরিবারের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের প্রত্যেককে বাড়ি পুনর্নির্মাণের জন্য ১.২ লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হবে। আমাদের মা-মাটি-মানুষ সরকার দিনরাত এক করে কাজ করছে, যাতে প্রত্যেকে খাদ্য, আশ্রয় ও চিকিৎসা পরিষেবা পান। বিশেষ শিবিরগুলির মাধ্যমে নাগরিকদের হারিয়ে যাওয়া নথিপত্র ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার যাবতীয় জিনিসপত্র সংক্রান্ত সাহায্য করা হচ্ছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের মা-মাটি-মানুষ সরকার সর্বশক্তি দিয়ে ২৪ ঘণ্টা ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বন্যায় হারিয়ে যাওয়া প্রয়োজনীয় নথি পুনরুদ্ধারে বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের নতুন পাঠ্যবই সরবরাহ করা হচ্ছে। খাদ্যসামগ্রী, বিপর্যয় মোকাবিলা সরঞ্জাম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিতরণ করা হচ্ছে বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আমাদের কোনো হাত বা নিয়ন্ত্রণ নেই, কিন্তু আমাদের সহমর্মিতা, প্রস্তুতি এবং ঐক্যবদ্ধ মানসিকতাই নির্ধারণ করে আমাদের প্রতিক্রিয়া- এই বার্তাই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষের সাহস, ধৈর্য ও লড়াইয়ের মনোভাব তাঁকে অনুপ্রাণিত করে। রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে থাকবে-প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতিটি দিনে-যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
https://x.com/MamataOfficial/status/1978019027864965589?t=gb1OFCj83877IodMJl9giA&s=19