তৃণমূলের পথে JPC বয়কট কংগ্রেসের, দেশে BJP বিরোধিতার অভিমুখ ঠিক করছে মমতার দলই

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:১০: জেলবন্দি প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদ থেকে অপসারণের জন্য চলতি বছরের বাদল অধিবেশনে সংবিধান সংশোধনী বিল (130th The Constitution Amendment Bill) আনে কেন্দ্র। যা নিয়ে তীব্র বিরোধিতায় নামে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে Black Bill বলে আখ্যা দেন। বিরোধীদের চাপে সংসদীয় যৌথ কমিটি গড়ার পথে হাঁটে সরকারপক্ষ। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সর্বপ্রথম জানিয়ে দেয় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল সংক্রান্ত সংসদীয় যৌথ কমিটিতে কোনও প্রতিনিধি পাঠাবে না তারা। মমতার দেখানো পথে হেঁটে সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা (উদ্ধব) ও আম আদমি পার্টি জানায় তারাও প্রতিনিধি পাঠাবে না। এবার একই পথে হাঁটল কংগ্রেস।
একের পর এক বিরোধী দল যৌথ কমিটি থেকে নাম সরিয়ে নেওয়ায় চাপে পড়ে কংগ্রেস। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হাঁটছে দেশের বিজেপি বিরোধী শক্তিরা। কার্যত বাংলায় বসে মমতা ঠিক করে দিচ্ছেন বিরোধী রাজনীতির অভিমুখ। কংগ্রেসও সেই পথেই হাঁটল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলই যে বিরোধী শক্তির অলিখিত নিয়ন্ত্রক তা প্রমাণ হয়েছে একের পর এক ঘটনা থেকে।
এই যৌথ কমিটি গঠিত হওয়ার পর পরই তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন নিজের X হ্যান্ডলে জানিয়েছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল সংক্রান্ত সংসদীয় যৌথ কমিটিতে কোনও প্রতিনিধি পাঠাবে না। ডেরেক লিখেছিলেন, “মোদী-শাহ জেপিসিকে প্রহসনে পরিণত করেছে। সমস্ত জেপিসিতেই শাসক দলের সাংসদদের সংখ্যার আধিক্যর জেরে চেয়ারম্যান পদে বিজেপিরই কাউকে বসানো হয় এবং কমিটির চূড়ান্ত রিপোর্ট সর্বসম্মতিক্রমে তৈরি হয় না। বিরোধীদের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীও ভোটাভুটির মাধ্যমে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। চূড়ান্ত রিপোর্টে বিরোধীদের মতামতের কোনও প্রতিফলনই সেখানে থাকে না।”
সূত্রের খবর, যৌথ কমিটি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার আগে কংগ্রেসের তরফে তৃণমূলের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও করা হয়েছে। সংশোধনী বিলটির বিরুদ্ধে বাদল অধিবেশন থেকে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিয়েছিল তৃণমূল। দলগতভাবে তৃণমূলের বক্তব্য ছিল, এই বিল পাশ হবে না। পাশ হলেও সুপ্রিম কোর্ট তা প্রত্যাখান করবে। সাংসদদের অনেক কাজ থাকে তাই সময় নষ্ট করার কোনও মানে হয় না। ফলে যৌথ কমিটি সময় নষ্ট ব্যাতিত কিছু নয়।