Durgapur Case: সেদিন রাতে ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল?
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৫০: দুর্গাপুরের নির্যাতিতার সঙ্গে ধৃত সহপাঠীর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল! পুলিশের দাবি, নির্যাতিতার সহপাঠী প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) চ্যাটে। সেই সূত্র ধরেই তদন্তকারীদের ধারণা, ঘটনার রাতে দু’জন পরিকল্পনা করেই নির্জন জঙ্গলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত ঘটনা। তিন দুষ্কৃতীর হানা, ছিনতাইয়ের চেষ্টা এবং অভিযোগ অনুযায়ী, ধর্ষণ।
নির্যাতিতা ও তাঁর প্রেমিকের দাবি অনুযায়ী, জঙ্গলে ঢোকার সময় থেকেই তিন দুষ্কৃতী তাঁদের অনুসরণ করছিল। জঙ্গলের ভিতরে ঢুকতেই অভিযুক্তরা মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং টাকা দাবি করে। প্রেমিককে হস্টেলে টাকা আনতে পাঠানো হয়, আর সেই ফাঁকে একজন দুষ্কৃতী তরুণীকে ধর্ষণ (Rape) করে বলে অভিযোগ। পরে প্রেমিক ফিরে এলে বাকি দু’জন তাঁকে নির্যাতিতাকে ফিরিয়ে দেয়।
তবে পুলিশের (Police) সন্দেহ, এই বয়ান বারবার বদলানো হচ্ছে। তদন্তকারীদের মতে, ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই প্রতিটি বক্তব্য খুঁটিয়ে যাচাই করা হচ্ছে।
ঘটনার পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার ফের নতুন করে ‘ক্রাইম সিন’ (Crime Scene) ঘিরে ফেলে পুলিশ। আগেই কিছু এলাকা কর্ডন করা হয়েছিল, এবার আরও ৫৫ মিটার এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নতুন কোনও প্রমাণ মিলেছে? নাকি তদন্তে এসেছে নতুন মোড়?
পুলিশি হেফাজতে থাকা নির্যাতিতার সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর হস্টেল ঘরে তল্লাশি চালায় তদন্তকারী দল। সেই তল্লাশিতে একটি কন্ডোম উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শুধু হস্টেল ঘরেই নয়, অভিযোগ অনুযায়ী যে জঙ্গলে তরুণী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, সেই স্থান থেকেও একটি কন্ডোম উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই দুটি আলাদা জায়গা থেকে পাওয়া সামগ্রী তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
এদিন তদন্তে সহায়তার জন্য দুর্গাপুরে পৌঁছান সাইবার বিশেষজ্ঞ ও কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়। নিউটাউনশিপ থানায় তিনি বৈঠক করেন ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা, এসিপি (দুর্গাপুর) সুবীর রায় এবং সিআই (এ) রণবীর বাগের সঙ্গে। থানাতেই ধৃত পাঁচ অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার সহপাঠীকে দফায় দফায় জেরা করা হয়। এমনকি মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও চলে। ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটনে তদন্ত জোরদার করেছে পুলিশ।