এক যুগের অবসান: শেষ দীপাবলি ট্রেডিং হবে কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জে

October 19, 2025 | 2 min read
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৪৫: দেশের প্রাচীনতম শেয়ার বাজারগুলির অন্যতম কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ (CSE) এই বছর শেষবারের মত কালীপুজো ও দীপাবলি উদযাপন করতে চলেছে কার্যকরী এক্সচেঞ্জ হিসেবে। আগামী ২০শে অক্টোবর, CSE প্রাঙ্গণে শেষবারের মতো প্রদীপ জ্বলে ইতিহাসের এক অধ্যায়ও শেষ হয়ে যাবে। দীর্ঘ এক দশক ধরে চলা আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে স্টক এক্সচেঞ্জটি ব্যবসা থেকে স্বেচ্ছায় প্রস্থানের পথে হাঁটছে।

২০১৩ সালের এপ্রিলে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি CSE-র শেয়ার লেনদেন স্থগিত করে দেয় বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক নিয়ম না মানার কারণে। তারপর থেকে শুরু হয় পুনরুজ্জীবনের মরিয়া চেষ্টা এবং আদালতের দ্বারস্থ হওয়া, নতুন অংশীদার খোঁজা, ও ব্যবসায়িক অনুমোদন ফেরানোর লড়াই। কিন্তু এক দশক ধরে সমস্ত প্রচেষ্টার পরেও কার্যকরী এক্সচেঞ্জ হিসেবে ফিরে আসা সম্ভব হয়ে ওঠেনি কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জের।

সিএসইর চেয়ারম্যান দীপঙ্কর বসু জানিয়েছেন, চলতি বছরের ২৫শে এপ্রিল বিশেষ সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডাররা এক্সচেঞ্জ ব্যবসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেন। সেই অনুযায়ী, সিএসই ইতিমধ্যেই সেবির কাছে স্বেচ্ছায় প্রস্থান সংক্রান্ত আবেদন জমা দিয়েছে। সেবি এই প্রক্রিয়ায় একটি মূল্যায়ন সংস্থা নিয়োগ করেছে, যারা বর্তমানে এক্সচেঞ্জটির সম্পূর্ণ মূল্য নির্ধারণের কাজ করছে।

এক সময় কলকাতার অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই স্টক এক্সচেঞ্জ ১৯০৮ সালে যাত্রা শুরু করেছিল। বহু বছর ধরে এখানে রাজত্ব করেছে ছোট ও মাঝারি শিল্পের শেয়ার লেনদেন। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির আগমন, জাতীয় বাজারের সম্প্রসারণ এবং নিয়মনীতি কঠোর হওয়ার ফলে ধীরে-ধীরে পিছিয়ে পড়ে সিএসই।

আজ যখন শেষ কালীপুজোর প্রস্তুতি চলছে, প্রাক্তন কর্মী ও ব্যবসায়ীরা স্মৃতিমেদুর। তাঁদের কথায়, সিএসই শুধু একটি স্টক এক্সচেঞ্জ ছিল না, ছিল শহরের অর্থনৈতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। এখন তা ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে চলেছে, কলকাতার শেয়ারবাজারের দীপাবলি এবার সত্যিই শেষ আলোকোৎসব।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen