রেলপথে জুড়লো দুই বাংলা, খুশি সাধারণ মানুষ
পূর্বপুরুষদের কাছে শোনা গল্প আজ বাস্তব। খুশি ভারত ও বাংলাদেশ সাধারণ মানুষ। ফের বাংলাদেশের দিকে ছুটে চলল রেক ইঞ্জিন। দুই হাত তুলে ভারতীয় রেলকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ। কাঁটাতারের বেরা পেরিয়ে হলদিবাড়ি থেকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এদিন রেলের ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান হল ভারতের তরফে।
এপারে ভারতে হলদিবাড়ি ওপারে বাংলাদেশর চিলাহাটি মাঝখানে কাঁটাতারের বেরা দুদেশকে ভাগ করেছে। আর এই কাঁটাতারের বেরা পেরিয়ে ইঞ্জিন ছুটল বাংলাদেশের দিকে। দুই হাত তুলে ইঞ্জিন কে স্বাগত জানালেন বাংলাদেশের মানুষজন। ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু করতে ফের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল দু-দেশ।
বাংলাদেশের তরফেও দিন কয়েকের মধ্যেই হলদিবাড়ির বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত বসানো রেল পথে পরীক্ষামূলক ভাবে ইঞ্জিন চালানো হতে পারে বলে বাংলাদেশ রেল দপ্তরের আধিকারিক মহঃ আবদুল রহিম প্রজেক্ট ডাইরেক্ট।
নতুন করে রেলপথ স্থাপন করে ভারত ও বাংলাদেশ রেল দপ্তর। কাঁটাতারের বেরা কেটের দু-দেশের রেলদপ্তর রেললাইন জুড়ে দিয়েছে। আজ ভারত বাংলাদেশের সীমান্তেত জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ইঞ্জিনের সফল ট্রায়াল হয়ে গেছে। ফিতে কেটে ইঞ্জিনএর ট্রায়াল রান করার চিফ ইঞ্জিনিয়ার জেপি সিং।
দুপারেই কাজ প্রায় শেষ। বাংলাদেশের রেল দপ্তর আগামি ১৫ দিনের মধ্যেই রেলের ইঞ্জিন চালিয়ে ট্রায়াল দেবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের রেলদপ্তরের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর তথা ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার দুই মহম্মদ আব্দুল রহিম। তিনি জানান দু-দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু করতে মার্চ মাসে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে এই পথে।আমরা খুব আনন্দিত যে দুই দেশের মধ্যে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও ভালো হবে।
উত্তরপুর্ব সীমান্ত রেলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার(কনট্রাকশন) জেপি সিং বলেন, দুইদেশের মানুষের দাবি ছিল এই রেললাইন নিয়ে।তাদের স্বপ্ন সার্থক হতে চলেছে। ২০১৭ সালে কাজটা শুরু হলেও মাঝে বন্ধ ছিল।আমাদের আজ রেলওয়ে লাইনে ইঞ্জিন চালিয়ে আমরা দেখে নিলাম যে ট্রেন চলাচলের যোগ্য কিনা তা সফল।