সংখ্যালঘুরা ‘নমক হারাম’, ঘৃণা ছড়াচ্ছেন মোদীর মন্ত্রী, ভোটমুখী বিহারে মেরুকরণের অস্ত্রে শান BJP-র!

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:১৫: বার বার ঘৃণা ভাষণের অভিযোগ উঠেছে মোদী সরকারের মন্ত্রী ও বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিদ্বেষমূলক ভাষণের রীতিমতো ফোয়ারা ছুটিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। এবার ভোটমুখী বিহারে ফের চেনা মেজাজে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। সংখ্যালঘুদের নিয়ে কুকথা বলে ফের বিতর্কে জড়ালেন তিনি। ভোটের প্রচারে প্রতিবার মেরুকরণের অস্ত্রে শান দেয় বিজেপি। বিহার ভোটেও তার ব্যতিক্রম হল না।
শনিবার বিহারের আরওয়াল জেলায় এক জনসভায় গিরিরাজ সংখ্যালঘুদের ‘নমক হারাম’ বলে আক্রমণ করেন। বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘আমি একজন মৌলবিকে জিজ্ঞাসা করলাম, আয়ুষ্মান ভারত কার্ড পেয়েছেন? তিনি বললেন— পেয়েছি। হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের ভিত্তিতে সেই কার্ড দেওয়া হয়নি বলেও স্বীকার করেন। এমনকী তিনি আমাকে ভোট দিয়েছেন বলেও দাবি করেন। তখন আমি তাঁকে খোদার নামে শপথ করে সেই কথা বলতে বলি। তখন তিনি তা করতে অস্বীকার করেন। এই ধরনের লোকদের নমক হারাম বলে। আমি তাঁকে বললাম— এমন নমক হারামদের ভোট আমি চাই না।’
বেগুসরাইয়ের বিজেপি সাংসদের দাবি, বিহারে এনডিএ সরকারের আমলে অনেক উন্নতি হয়েছে। সমাজের সবস্তরের মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন। এতকিছুর পরও বিজেপি সরকারকে মুসলমানরা ভোট দেয় না।
গিরিরাজের বিদ্বেষের বিষ ছড়ানো মন্তব্যকে সমর্থন করে নীতিশের দলের মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার জনকল্যাণমূলক কাজে ও উন্নয়নের কাজে কোনও বৈষম্য করে না। এরপরেও তারা নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের ভোট পায় না। এটা উদ্বেগের। গিরিরাজ তাঁর পছন্দের শব্দ ব্যবহার করে বক্তব্য রাখতেই পারেন।’ যদিও এহেন বিদ্বেষমূলক মন্তব্যে বিরুদ্ধে আরজেডির মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি বলেন, ‘হিন্দু-মসুলিম বিভাজন ছাড়া বিজেপি নেতারা আর কিছু বলতেই পারেন না, এটা সকলেই জানে। তারা বেকারত্ব নিয়ে কথা বলেন না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়েও নীরব থাকেন।’