রাজস্থানের কোটায় আবারও পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু! আত্মহত্যার দাবি খারিজ পরিবারের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:২০: আবারও ডবল ইঞ্জিন রাজস্থানের কোটা শহরে (Rajasthan Kota) পড়ুয়ার মৃত্যু! পরীক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার রাজীব গান্ধী নগরের এক হোস্টেল রুমে ২৪ বছর বয়সি রোশন কুমার পাত্রকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, কোটায় নিট-ইউজি (NEET-UG) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই পড়ুয়া।
ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত পরীক্ষার্থীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে কখনও আত্মহত্যা করতে পারে না। রোশনের বাবা রাধাশ্যাম পাত্র সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে জানান, “গতরাতে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেছিলাম। এমনকী ভিডিও কলেও আমাদের কথা হয়। ছেলে বেশ খুশি ছিল, কোনও চিন্তা বা মানসিক চাপের লক্ষণ বুঝতে পারিনি।” তিনি জোরের সঙ্গেই দাবি করেন, তাঁর ছেলে কখনও নিজের প্রাণ নিয়ে নেওয়ার কথা ভাবতেও পারে না। সে বরাবর ক্লাসে প্রথম হত বলেও জানান রাধাশ্যাম। রোশনের বাবা আরও জানিয়েছেন, তিনি তাঁর ভাইপোর থেকে শুনেছেন, “দরজা ভেঙে যখন ঘরে ঢোকা হয়, তখন রোশনের দেহে কোনও পোশাক ছিল না। সারা শরীরে রক্ত মাখামাখি হয়ে ছিল।”
রোশন ওড়িশার গঞ্জাম জেলার বাসিন্দা ছিলেন। কোটা শহরে তিনি তাঁর এক ভাই এবং কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে হোস্টেলে থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত রোশন ও তাঁর বন্ধুরা পড়াশোনা করছিলেন। শনিবার সকালে রোশন দরজা না-খোলায় বন্ধুরা প্রথমে ভেবেছিল, সে ঘুমোচ্ছে। দুপুর গড়িয়ে গেলে তাঁরা দরজায় ধাক্কা দেন। কোনও সাড়া না-মেলায় খবর দেওয়া হয় হোস্টেলের ওয়ার্ডেনকে। ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলতেই দেখা যায়, রোশন বিছানায় মুখ গুঁজে পড়ে আছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।
রাজস্থানের কোটা শহরে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া পড়াশোনা করতে আসে। সেখানে পরীক্ষার্থীর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য তৈরি হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।