পথকুকুর মামলায় সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে বাংলা, তেলেঙ্গানা ও দিল্লি ছাড়া অন্য রাজ্যগুলি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৬:০৫: পথকুকুর মামলায় এখনও হলফনামা দেয়নি অধিকাংশ রাজ্য। দু’মাস পেরিয়ে গিয়েছে। সুপ্রিম নির্দেশ মেনে মাত্র তিনটি রাজ্য হলফনামা পেশ করেছে। হলফনামা পেশা করা রাজ্যগুলি হল, বাংলা, তেলেঙ্গানা ও দিল্লি। বাকি রাজ্যগুলির উপর ক্ষুব্ধ হল সুপ্রিম কোর্ট। অন্যান্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ভর্ৎসনা করে আদালত সাফ জানিয়েছে, হলফনামা না-পেশ করা রাজ্যেগুলির মুখ্যসচিবদের ৩ নভেম্বর আদালতে উপস্থিত হয়ে জবাবদিহি করতে হবে।
একের পর এক কুকুরের কামড়ের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দিল্লির রাস্তা থেকে কুকুরদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় প্রাথমিকভাবে। তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক। দেশব্যাপী পথকুকুরদের নিয়ন্ত্রণ নীতি লাগুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কুকুরদের প্রতিষেধক ও বন্ধ্যাত্বকরণে জোর দেওয়া হয়। ২২ আগস্ট এই মামলায় সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে যুক্ত করে শীর্ষ আদালত। আদালত জানায়, রাস্তা থেকে নির্দিষ্ট আশ্রয়ে তুলে নিয়ে যেতে হবে পথকুকুরদের। সেখানে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে বন্ধ্যাত্বকরণ ও প্রতিষেধক দিতে হবে। তারপর যেখান থেকে কুকুরদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানে ফিরিয়ে দিতে হবে।
এহেন পরামর্শের প্রেক্ষিতে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনটি রাজ্য সুপ্রিম কোর্টকে হলফনামা জমা দিয়েছে। দীপাবলির ছুটির সময় তা জমা পড়ায় নথিভুক্ত হয়নি বলে খবর। অন্য রাজ্যগুলি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে। যার জেরে বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতি এনভি অঞ্জরিয়ার বেঞ্চ সোমবার ক্ষুব্ধ হয়।
আদালত জানায়, “দু’মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তারপরও কোনও রাজ্যের প্রতিক্রিয়া আসেনি। আন্তর্জাতিকস্তরে দেশের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে।” রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উদ্দেশ্যে নোটিশ জারি করে জানানো হয়, আগামী ৩ নভেম্বর সোমবার সকাল ১০.৩০ টায় হলফনামা জমাম না-দেওয়া রাজ্যের প্রতিনিধিদের আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে। কেন হলফনামা দাখিল করা হয়নি তার ব্যাখ্যা দিতে হবে বলেও জানায় বিচারপতিদের বেঞ্চ।