ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার না-রাখার ঘোষণা গেরুয়া সাংসদের, BJP-র দ্বিচারিতা তুলে ধরলেন অভিষেক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:১৫: বার বার অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে বাংলার শাসক তৃণমূলকে বিঁধে যান মোদী, অমিত শাহ এবং বিজেপির নেতারা। কিন্তু খোদ বিজেপি সাংসদ বলছেন, বিজেপি বঙ্গে ক্ষমতায় এলেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার তুলে দেবেন। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের (Jagannath Sarkar) এহেন মন্তব্যকে পদ্ম শিবিরের দ্বিচারিতা হিসাবেই দেখছেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
বছর ঘুরলেই ভোট। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর (SIR)। তুঙ্গে বাংলার রাজনীতির পারদ।
সম্প্রতি মাটিয়ারি বানপুরে বিজেপির এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রানাঘাটের সাংসদ বলেন, “এবারের ভোটে আমরা জিতলে বাংলাদেশের সঙ্গে আর কাঁটাতার রাখব না। আগেও এক ছিল দুই বাংলা, আবার এক হয়ে যাবে।” সীমান্ত সুরক্ষা কেন্দ্রের বিষয় হলেও অনুপ্রবেশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে আসছে। সেখানে বিজেপি সাংসদের সীমান্তে কাঁটাতার না-রাখার ঘোষণায় স্তম্ভিত রাজনৈতিক মহল। সরব হয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
সমাজ মাধ্যমে তৃণমূলের সেনাপতি লিখছেন, “বিজেপি নেতৃত্বের দ্বিচারিতা আরও নিচে নেমে গিয়েছে। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ঘোষণা করেছেন যে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কোনও সীমান্ত থাকবে না। ভারত ও বাংলাদেশ, উভয় দেশ আবার এক হয়ে যাবে! অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সীমান্ত রক্ষায় জমি না-দেওয়ার জন্য দোষারোপ করে চলেছে! তাদের নিজেদের (BJP) সাংসদ সীমান্তগুলি মুছে ফেলতে চান!” তাঁর মতে, “বিজেপি যদি সত্যিই দেশের অখণ্ডতায় বিশ্বাস করে, তাহলে আমি বিজেপি এবং জেপি নাড্ডাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, এই সাংসদকে অবিলম্বে বরখাস্ত করুন। অন্যথায় তাঁদের নীরবতা প্রমাণ করে দেবে যে, তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের পূর্ণ সম্মতিতে এমন কথা বলেছিলেন।”
বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি আরও লিখছেন, “এটা জাতীয়তাবাদ নয়। এটা প্রতারণা। SIR-র নামে পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে বোকা বানানো এবং অপমান করা বিজেপির ট্রেডমার্ক রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে। দ্বিচারিতা এবং বিশ্বাসঘাতকতার একটি বিপজ্জনক মিশ্রণ! তাদের নিজেদের (BJP) কথাগুলো দেখুন এবং সিদ্ধান্ত নিন কে বাংলাকে বোকা বানাচ্ছে।”