বাংলার বিখ্যাত মেয়েরা
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র সমূহ হল শিক্ষার অধিকার, পরিপুষ্টি, আইনি সহায়তা ও ন্যায় অধিকার, চিকিৎসা সুবিধা, ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, নারীর বিরুদ্ধে হিংসা ও বাল্যবিবাহ।

আজ আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস। ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম এই দিবস পালন করা হয়েছিল। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা এই দিবসের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র সমূহ হল শিক্ষার অধিকার, পরিপুষ্টি, আইনি সহায়তা ও ন্যায় অধিকার, চিকিৎসা সুবিধা, ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, নারীর বিরুদ্ধে হিংসা ও বাল্যবিবাহ।
কিন্তু আজও আমাদের দেশে কন্যা সন্তানকে অভিশাপ মনে করা হয়। ভ্রূণেই হত্যা করা হয় তাদের। কিন্তু মেয়েরা কি আজ সত্যিই কোন অংশে কারোর থেকে পিছিয়ে আছে? প্রতিটি ক্ষেত্রে মেয়েরা আজ পুরুষদের মতোই সফল, কখনো বা বেশি। মেয়েদের সফলতাও আজ গগনচুম্বী। মেয়েরা অভিশাপ নয় বরং আশীর্বাদ।
আজকের দিনে চিনে নিন কিছু সফল বাঙালি নারীদের। যারাও একদিন কন্যা সন্তান হয়েই জন্মেছিলেন এবং শুধু নিজের পরিবারেরই নয় বরং গোটা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেনঃ
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়

গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তাঁর কণ্ঠের জাদুতে মজে কয়েক প্রজন্ম। যার সুরের যাদু এক সময় কলকাতা থেকে মুম্বাই তথা পুরো দেশকেই কাঁপিয়ে দিয়েছিল। আর বাংলাকে করেছিল গর্বিত।
মমতা বন্দোপাধ্যায়

বাঙালি নারীর কথা হবে আর এনার কথা হবে না তাও কি হয়! যুবনেত্রী থেকে রেলমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী জীবনে প্রতিটি পদেই সমান যোগ্যতার সাথে উত্তীর্ণ হয়ে বার বার বাঙালির মাথা উঁচু করেছেন। বাঙালি নারী হিসেবে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন যিনি।
অপর্ণা সেন

এই ‘মিস কলকাতা ১৯৭৬’ এখনও বাঙালির মন জুড়ে বাস করেন। শুধু সৌন্দর্যই না, অপর্ণা সেনের বুদ্ধিমত্তাও তাঁকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে। নায়িকা হিসেবে তো বটেই, নির্দেশক হিসেবেও তিনি গোটা বাঙালি জাতিকে গর্বিত করেছেন। উল্লেখ্য দেশে হাতে গোনা কজন মহিলা পরিচালকের মধ্যে তিনি প্রথম সারিতে বিরাজমান।
শ্রেয়া ঘোষাল

নাকে এযুগের ‘নাইটঙ্গল’ বললে বেশি বলা হবে না। তাঁর মধুর কন্ঠের যাদুতে মুগ্ধ সারা দেশ। বাংলার এই সোনার মেয়েই বিগত দশবছর ধরে একচেটিয়া ভাবে ধরে রেখেছেন বলিউডের সুরের রাণীর খেতাব।
সুস্মিতা সেন

শুধু বাংলাই নয়, একদিন বিশ্বের দরবারে গোটা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন এই বঙ্গ সুন্দরী। তিনিই দেশে এনে দিয়েছিলে ‘মিস ইউনিভার্স’- এর খেতাব। শুধু রূপই নয়, তিনি গোটা বিশ্বে চর্চিত তাঁর বুদ্ধিমত্তা এবং অভিনয় দক্ষতার জন্যে। সেভাবে দেখতে গেলে তিনিই বলিউডের প্রথম ‘সিঙ্গল মাদার’। এখন শব্দটি ভীষন প্রচলিত হলেও তাঁর সময় ছিল না। তিনি দুটি শিশুকন্যাকে দত্তক নেন এবং আজ তিনি সেই দুই সন্তানের যোগ্য মা এবং বাকিদের জন্যে উদাহরণ।
কাজল

চুলবুলি এই বাঙালি কন্যা, যেন প্রত্যেকের নিজের বাড়ির মেয়ে। এভাবেই ভক্তদের মনে বিরাজ করেন কাজল। শোনা যায় আজও ইউরোপবাসী বলিউডের ছবি বলতে শুধুই বোঝেন শাহরুখ-কাজলের ছবি।