এক বুথে উধাও ৮০০ ভোটারের নাম! মালদায় SIR ঘিরে আতঙ্ক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:২৪: মালদায় ভোটার তালিকা থেকে উধাও শাতাধিক নাম। মানিকচকের ধরমপুর পঞ্চায়েতের ৯৬ নম্বর বুথে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা (Voter List) ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রায় ৮০০ জনের নাম নেই সেখানে। অথচ তাঁদের হাতে ভোটার কার্ড আছে, এবং বছর বছর বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটও দিয়েছেন তাঁরা। এসআইআর (SIR) চালু হওয়ার পর পুরনো তালিকা মিলিয়ে দেখতেই বিষয়টি সামনে আসে। এতে আতঙ্কে গোটা গ্রাম।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, ভোটার কার্ড (Voter Card) থাকা সত্ত্বেও তালিকা থেকে নাম উধাও হল কীভাবে। বহু বাসিন্দাই বলছেন, কোথায় অভিযোগ জানাবেন বা কীভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না।
এই ঘটনা সামনে আসার আগে থেকেই এসআইআর (SIR) নিয়ে রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছিল। দুদিন আগে তৃণমূল (TMC) নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) দাবি করেন, কোচবিহারের নাটাবাড়ির একটি বুথে ২০০২ সালের তালিকায় ৭১৭টি নাম থাকলেও আপলোড হওয়া নথিতে মাত্র ১৪০টি নাম দেখা যাচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার একটি বুথে ৯০০ ভোটারের জায়গায় শূন্য ভোটার তালিকাভুক্ত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কুণালের অভিযোগ, অনেক হিন্দু ভোটারের নাম বাদ পড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দলীয় বৈঠকে দলীয় নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) নির্দেশ দেন, ব্লক স্তরে BLA 2 কর্মীরা BLO-দের সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রকৃত ভোটারদের নাম যাচাই করবেন। তিনি জানান, ১০০ শতাংশ ফর্ম পূরণ করে কমিশনে জমা দিতে হবে, তালিকা মিলিয়ে দেখা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি সতর্ক করে দেন, কোচবিহারসহ বিভিন্ন জায়গায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে, তাই ওয়েবসাইট ও হার্ড কপি মিলিয়ে দেখার প্রয়োজন।
মালদার (Malda) ক্ষেত্রেও বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার কথা বলেন অভিষেক। তিনি বলেন, “মালদহে পরিযায়ী শ্রমিক একটা সমস্যা। তাঁদের আসতে বলতে হবে। এনুমারেশন ফর্ম ফিলআপ করতে হবে। তাঁর আত্মীয় সই করতে পারবে না। তাই আসতেই হবে। এক মাস সময় আছে। পূর্ণবয়স্ক ক্ষেত্রে ফর্ম ফিলআপ করা যায়, কিন্তু কেউ অভিযোগ জানালে আসতেই হবে। তাই নিজে ফিলাপ করলে ভালো।”