শস্য বিমার বিজ্ঞপ্তি পুজোর পরেই
খরিফ মরশুমে শস্য বিমায় এবার ব্যাপক সাড়া মিলেছে। কৃষি দপ্তরের আশা, আগামী রবি মরশুমে গতবারের থেকে বেশি সংখ্যক চাষি শস্যবিমা করাবেন। পুজোর ছুটির পরেই বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা ইতিমধ্যে সরকারের কাছে আগ্রহপত্র পেশ করেছে। কৃষি বিমা সংক্রান্ত বিশেষ কমিটি রবি মরশুমের বিমার বিষয়টি চূড়ান্ত করবে।
খরিফ মরশুমে প্রধানত চার ধরনের ফসল বাংলা শস্য বিমার আওতায় থাকে। আমন-আউশ ধান, পাট এবং ভুট্টা। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, খরিফ মরশুমে সবচেয়ে বেশি বিমা হয়েছে আমন ধানের। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ লক্ষ শস্য বিমা আপলোড হয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বিমার সংখ্যা আরও কিছুটা বাড়বে। সে ক্ষেত্রে আউস ধান, গম, ভুট্টা প্রভৃতির উপর বিমা হয়েছে খুব বড়জোর হলে আড়াই লক্ষ।
কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, খরিফ মরশুমে রাজ্যের বেশিরভাগ কৃষক আমন ধানের চাষ করেন। তাই বিমার সংখ্যাও বাড়বে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্ত রবি মরশুমে চাষিরা বিভিন্ন ফসল চাষ করেন। গতবার মোট ১১ ধরনের ফসল বাংলা শস্য বিমার আওতায় ছিল। এর মধ্যে বোরো ধান, গম, মুগ, মসুর, ছোলা, ভুট্টা, সরষে, তিল ও বাদামের জন্য চাষিকে কোনও বিমার প্রিমিয়াম দিতে হয়নি। শুধু আলু ও আখের ক্ষেত্রে প্রিমিয়ামের একটা সামান্য অংশ কৃষককে দিতে হয়েছে। এবার প্রথম খরিফ মরশুমে অধিকাংশ কৃষককে সরাসরি বাংলা ফসল বিমায় অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়েছিল।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নাম থাকা ও গত বারের খরিফ মরশুমে যাঁরা বিমা করেছিলেন তাঁদের নতুন করে আবেদন করতে হয়নি। এর ফলে আগস্ট মাসের শেষে বিমা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তদের সংখ্যা ৫৮ লক্ষ হয়ে যায়। এটি গতবারের থেকে ১০ লক্ষেরও বেশি ছিল। এরপর সময়সীমা বাড়িয়ে আরও চাষিদের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। তবে বিমা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা মনে করছেন, রবি মরশুমে যেহেতু অনেক চাষি একাধিক ফসলের চাষ করেন তাই সরাসরি নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে অসুবিধা রয়েছে।
যদিও রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সরাসরি নাম নথিভুক্তকরণ না হলেও সমস্যা নেই। গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ে অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা রয়েছে। গতবার রবি মরশুমে ৪০ লক্ষের মতো বাংলা ফসল বিমা হয়েছিল। রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবার রবি মরশুমে আরও বেশি সংখ্যক কৃষক ফসল বিমা প্রকল্পের সুযোগ নেবেন।