এক ফোনেই বদলে গেল ভাগ্য! শেফালির দলে ফেরার গল্প যেন শাহরুখের জনপ্রিয় সিনেমার লাইন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৪০: শেফালির জীবনের গল্পটা যেন ঠিক সিনেমার মতো! শাহরুখ খানের সেই বিখ্যাত সিনেমার একটি লাইন সকলেরই মনে আছে, যে “হার কার জিতনে ওয়ালে কোহি বাজিগর কেহেতে হ্যান ” ঠিক সেই ডায়লগেরই প্রতি ছবি উঠে এলো তাঁর গল্পে। এক সময় বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে মন ভেঙেছিল বছর ২১ এর শেফালি ভার্মার। কিন্তু সেই আঘাতই যেন তাকে আরও শক্তিশালী করে তুলল। মাত্র ২১ বছর বয়সেই বিশ্বজয়ের মঞ্চে তিনি এখন ভারতের গর্ব।
এক সাক্ষাৎকারে শেফালি নিজেই বললেন, “যখন প্রথমে বিশ্বকাপ দলে আমার নাম ছিল না, খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু তখনই ঠিক করি—আমি থামব না। ফিটনেসে কাজ শুরু করি, নিজের দক্ষতা নিয়ে মনোযোগী হই। দলের সবাই, পরিবার সবাই বলেছিল, ‘তুমি ফিরে আসবেই, প্রস্তুত থেকো।’ ওদের সেই বিশ্বাসই আমাকে টেনে নিয়ে গেছে আজকের এই জায়গায়।”
কথায় আছে না কার ভাগ্যের চাকা কখন বদলায় কেউ বলতে পারে না! ঠিক সেটাই হলো শেফালির সঙ্গে। অবিশ্বাস্যভাবে, সেমিফাইনালের ঠিক আগে দলের ওপেনার প্রতীকা রাওয়ালের ইনজুরির কারণে দলে সুযোগ পান শেফালি। সেই ফোন পেয়ে তিনি বললেন, “সেই ফোনটা পেয়ে আমি সত্যি হতবাক! খুশিতেও চোখে জল চলে এসেছিল। এমন সুযোগ বারবার আসে না। তাই নিজের মনকে বলেছিলাম—‘শান্ত থাকো, সহজভাবে খেলো, উপভোগ করো।’”
আর বাকিটাতো এখন ইতিহাস। ফাইনালে ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফরম্যান্স, আর হাতে ‘প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ ট্রফি! এই সাফল্যের পরে শেফালির বক্তব্য, “এই মুহূর্তটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছাড়া কিছুই নয়। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর আমাদের বিশ্বাস জন্মেছিল—আমরাই পারব।”
বাদ পড়া থেকে বিশ্বজয়ের শীর্ষে শেফালি ভার্মার এই গল্প শুধু এক ক্রিকেটারের নয়, এটি অধ্যবসায়, বিশ্বাস ও কঠোর পরিশ্রমের প্রকৃত উদাহরন।