SIR-আতঙ্কে জোড়া মৃত্যু মুর্শিদাবাদে, রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি,১১:৫৬: SIR শুরু হতেই মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে বাংলায়। অভিযোগ, SIR-কে সামনে রেখে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ফেলেছে বিজেপি। বার বার দেশ ছাড়া করার, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। তাতেই ত্রাসে আত্মঘাতী হচ্ছেন একের পর এক নাগরিক। কেউ কেউ আতঙ্কে হৃদরোগ আক্রান্ত হচ্ছে। বুধবার পর পর দুই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। এই নিয়ে SIR আতঙ্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১।
পরিবারের দাবি, SIR-র জেরে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন দু’জন। তাঁদের একজনের নাম ২০০২ সালের তালিকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। অন্যজনের কাছে জন্মের শংসাপত্র ছিল না। দুশ্চিন্তা থেকেই হৃদরোগ হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
মুর্শিদাবাদের নওদা থানার ছাতুমারা অঞ্চলের বাসিন্দা ইসরাইল মোল্লা বেঙ্গালুরুতে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। সেখানেই সোমবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ইসরাইল। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়। পুত্র আশাদুল মোল্লা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় বাবার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল তাঁর। তিনি বাবাকে জানিয়েছিলেন, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের কারও নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ৬৫ বছরের পরিযায়ী শ্রমিক। রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। বুধবার ইসরাইলের দেহ বেঙ্গালুরু থেকে নওদায় এসে পৌঁছেছে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। আশাদুল জানান, ২০০০ সালের বন্যার সময় তাঁরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। ফলে ২০০২ সালের তালিকায় কারও নাম ওঠেনি বলে।
অন্যদিকে, বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদ পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের মসজিদপাড়া এলাকার বাসিন্দা জিতেন রায়ের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পরিবারের দাবি, জিতেন লোকমুখে শুনেছিলেন SIR-র জন্য জন্মের শংসাপত্র জন্য জমা দিতেই হবে। সেই থেকে চিন্তায় ছিলেন তিনি। নথি সংক্রান্ত জটিলতা এবং দুশ্চিন্তার কারণে জিতেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের।