বিশ্বজয়ী রিচাকে পুলিশে চাকরি দেবে রাজ্য, শুক্রে প্রত্যাবর্তন বঙ্গ তনয়ার! কী জানালেন বাবা?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৫২: বিশ্বকাপজয়ী প্রথম বাঙালি মহিলা ক্রিকেটার বাংলার রিচা ঘোষ (Richa Ghosh)। রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে দেওয়া হল পুলিশের চাকরির প্রস্তাব। দেশের মাটিতে ভারতের বিশ্বজয়ের অন্যতম নায়িকা রিচা, যাঁর ব্যাটিং পারফরম্যান্স সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ভারতের চাপ কমিয়ে দিয়েছিল। এবার তাঁর ঘরে ফেরাকে নিয়ে আবেগে ভাসছে শিলিগুড়ি। তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত নিজের শহর শিলিগুড়ি।
শুক্রবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামবেন রিচা। সেখান থেকে জাতীয় পতাকা লাগানো হুডখোলা জিপে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাবেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব (Gautam Deb)। শহরের বাঘাযতীন পার্কে রেড কার্পেট পেতে গার্ড অফ অনার দিয়ে তাঁকে নাগরিক সম্বর্ধনা দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ইতিমধ্যেই শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন রিচাকে, যা সম্বর্ধনা সভায় পাঠ করে শোনানো হবে।
রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন, “রাজ্য সরকারের তরফে রিচাকে রাজ্য পুলিশে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কী পদে, সেটা এখনও জানা নেই। রিচা ছোটবেলা থেকেই সেনা ও পুলিশে আগ্রহী। কাল ফিরছে, তখন বিস্তারিত কথা হবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘ও অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে, এবার ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জিতল। মাঝে ডব্লিউপিএল জিতেছে। আর কী চাহিদা থাকতে পারে! আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। শুধু আশা করব, এতদিন যা করেছে, সেটাই করে যাবে। মাঠে ও মাঠের বাইরে ওরাই আমাদের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করেছি, অল্পের জন্য কয়েকটা ম্যাচে হেরেছি, ভাগ্যও কিছু ক্ষেত্রে স্বপ্ন দেয়নি, তবে স্বপ্নটা ওরাই দেখিয়েছে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে সেটাই ওরা বাস্তবায়িত করেছে।’
বাবার স্বপ্নপূরণ করলেন রিচা, এপ্রসঙ্গে মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘আমার স্বপ্নটা পূরণ হয়ে গিয়েছে। যে দিনটির স্বপ্ন আমি দেখতাম, সেটা পেয়ে গিয়েছি। তারই সেলিব্রেশন হবে। জানি না কতদিন চলবে। বরাবরই ডাকাবুকো মেয়ে। ছোট থেকে আমি ছিলাম ওর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। আমার সঙ্গে ক্রিকেট খেলত। আমি যত দূরে বল মারতাম, ও চ্যালেঞ্জ নিত তার চেয়েও দূরে মারবে। সেভাবেই ও তৈরি হয়েছে। মানসিকভাবে আরও দৃঢ়চেতা হয়েছে। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন ক্লাবে ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্র্যাক্টিস করেছে। তাই এত সাহসী তৈরি হয়েছে।’
শুক্রবার রিচা থাকবেন একদিনের জন্য। দিনভর নানা অনুষ্ঠান রয়েছে তাঁকে ঘিরে। এদিকে CAB (Cricket Association of Bengal) রিচাকে সোনার ব্যাট উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। তারা ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠান করতে চাইলেও রিচার পরিবার ৮ নভেম্বরের পক্ষে মত দিয়েছে। দিন এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সংবর্ধনার মঞ্চে রিচার হাতে সোনার ব্যাট ও সোনার বল তুলে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে CAB-র।