‘রবীন্দ্রনাথ ছোট প্রমাণ করার চেষ্টা বাঙালি মানবে না’, BJP সাংসদের মন্তব্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠল তৃণমূল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:২৭: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর না-কি ইংরেজদের খুশি করতে ‘জন গণ মন’ লিখেছিলেন, অতিসম্প্রতি এমনই উদ্ভট দাবি করেছেন কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ বিশ্বেশ্বর কাগেরি। যার প্রতিবাদে গর্জে উঠল তৃণমূল। আজ, সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও শশী পাঁজা। রাজ্যের শাসক দলের মতে, “বিজেপি কোনওদিনই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দেখতে পারেন না।” উল্লেখ্য, এর আগেও বিজেপির একাধিক নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ রবি ঠাকুরকে ঘিরে নানান ভ্রান্ত মন্তব্য করেছেন। এমনকী শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার পর কেন্দ্রের বসানো নামের ফলকে ঠাঁই পাননি রবি ঠাকুর।
বিজেপি সাংসদ কাগেরি বলেছিলেন, ব্রিটিশ আধিকারিকদের স্বাগত জানানোর জন্য ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’ লেখা হয়। তাঁর মতে জাতীয় সঙ্গীত হওয়া উচিত ছিল ‘বন্দে মাতরম’। যা নিয়ে তু্ঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। প্রতিবাদে সরব হয়েছে কর্ণাটকের শাসকদল কংগ্রেস। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে প্রতিবাদ জানাল তৃণমূল।
ব্রাত্য বসু বলেন, পরিকল্পনামাফিক ভুল তথ্য প্রচার করছে ও কবিগুরুকে অপমান করছে বিজেপি। বিজেপি তৎকালীন একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রের দাবিকে তুলে ধরে কবিগুরুকে অপমান করছে। যা কোনওভাবেই মেনে নেবে না তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, “পঞ্চম জর্জের আসার সঙ্গে এই গানের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি মিথ্যাকে আমাদের খাইয়ে দিতে চাইছে!” রাজ্যের মন্ত্রীর প্রশ্ন, “পুজোর সময় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা অনেক গান প্রকাশিত হয়। সেই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুজো উদ্বোধন করতে কলকাতায় আসেন। তার মানে কি ওনাকে স্বাগত জানাতে গান লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী?”
ব্রাত্যর অভিযোগ, “বঙ্গিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও রবীন্দ্রনাথের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা চলছে, এটা বিজেপির কৌশল। রবীন্দ্রনাথ ছোট প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে। বাঙালি মানবে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”
উল্লেখ্য, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গান ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়ায় বিজেপি শাসিত অসমে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা রুজু হয়েছে। প্রবীণ কংগ্রেস কর্মী বিধুভূষণ দাসের মুখে গানটি শুনে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা রুজু করতে বলেন বিজেপি শাসিত অসম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বাংলার বিজেপি নেতা, কর্মীরা আবার হিমন্তের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।