দুই হাত ছাড়াই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন শীতল দেবী , এবল-বডিড দলে জায়গা করে নিলেন জম্মু-কাশ্মীরের কন্যা

November 7, 2025 | < 1 min read
Published by: Raj

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪.১৫: বিশ্বজয়ী প্যারা আর্চার শীতল দেবী আবারও লিখলেন এক অনন্য ইতিহাস। জম্মু ও কাশ্মীরের ১৮ বছর বয়সি এই কন্যা এবারে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের এবল-বডিড জুনিয়র আর্চারি দলে—যেখানে প্রতিযোগিতা ছিল পুরোপুরি যোগ্যতার ভিত্তিতে। জাতীয় ট্রায়ালে তৃতীয় হয়ে তিনি নিজের স্থান নিশ্চিত করেছেন, আর এভাবেই প্রমাণ করেছেন—প্রতিবন্ধকতা নয়, প্রতিভাই শেষ কথা।

জন্ম থেকেই দুই হাতবিহীন, বিরল ‘ফোকোমেলিয়া’ রোগে আক্রান্ত শীতলের যাত্রা শুরু হয়েছিল জম্মুর কিশ্তওয়ারে। হাত না থাকলেও থেমে থাকেননি তিনি। আমেরিকান আর্মলেস আর্চার ম্যাট স্টুট্‌জম্যান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি তৈরি করেন নিজস্ব কৌশল—পা ও কাঁধের সাহায্যে তীর ছোড়ার অবিশ্বাস্য দক্ষতা। ভারতীয় সেনার সহযোগিতায় শুরু হয় তাঁর প্রশিক্ষণ, পরে কাত্রার শ্রী মা বৈষ্ণো দেবী স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ও বর্তমানে পাতিয়ালায় কোচ গৌরব শর্মার তত্ত্বাবধানে নিজের স্টাইল নিখুঁত করে তোলেন তিনি।

সম্প্রতি জাতীয় ট্রায়ালে ৬০ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে সমানতালে লড়াই করে ৭০৩ পয়েন্ট তুলে শীর্ষ স্কোরারদের সমকক্ষ হন শীতল। কোচের কথায়, “এক মাস বিশ্রামের পরও শীতলের মনোসংযোগ ও প্রতিজ্ঞা অবিশ্বাস্য ছিল।”

২০২২ এশিয়ান প্যারা গেমসে প্রথম আন্তর্জাতিক স্বর্ণ, ২০২৪ প্যারিস প্যারালিম্পিকে মিক্সড টিম ব্রোঞ্জ, আর ২০২৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশ্ব প্যারা আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণজয়—সবই তাঁকে ইতিহাসে স্থান দিয়েছে প্রথম হাতবিহীন নারী বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে।

২০২৩ সালে অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত শীতল আজ ভারতের ক্রীড়া ইতিহাসের প্রেরণার প্রতীক। তাঁর এবল-বডিড দলে অন্তর্ভুক্তি কেবল একটি ক্রীড়া সাফল্য নয়—এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও বৈচিত্র্যের শক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়ার এক মাইলফলক।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen