Bihar Elections: এলজেপি সাংসদের দুই আঙুলে কালি! ভোট জালিয়াতির অভিযোগে সরব বিরোধীরা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১.১৫: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণের পর এক ভিডিও ঘিরে উঠে এল ভোট জালিয়াতির অভিযোগ। জেডিইউ নেতা অশোক চৌধুরীর কন্যা, চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টির (LJP) নেত্রী ও সমস্তিপুরের সাংসদ শম্ভবী চৌধুরীর (Shambhavi Chaudhary) দুই হাতে ভোটের কালি দেখা যাওয়ায় বিরোধীরা সরব হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, শম্ভবী প্রথমে ডান হাতে কালি লাগানো আঙুল দেখান, পরে বাম হাতেও একই রকম কালি দেখা যায়। (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দৃষ্টিভঙ্গি)
ভিডিওটি সামনে আসতেই আরজেডি (RJD) মুখপাত্র কাঞ্চনা যাদব এক্স হ্যান্ডলে তা শেয়ার করে অভিযোগ তোলেন, “এটা জালিয়াতির সম্পূর্ণ নতুন ছবি। একজন সাংসদের দুই হাতে কালি মানে কি তিনি দুবার ভোট দিয়েছেন?” তিনি আরও দাবি করেন, ভিডিওতে দেখা যায় শম্ভবীর বাবা অশোক চৌধুরী তাঁকে চোখের ইঙ্গিত দিয়ে সতর্ক করছেন।
यह तो एक अलग ही स्तर का फ़्रॉड चल रहा है।
ये हैं LJP सांसद शांभवी चौधरी चौधरी। दोनों हाथों पर स्याही लगी हुई है। मतलब इन्होंने 2 बार वोट किया। जब यह बात सामने आ गई तो इनके पिता अशोक चौधरी इन्हें आँखों के इशारे से संकेत कर रहे हैं।
चुनाव आयोग, यह सब कैसे हो रहा है?
इसकी जाँच कौन… pic.twitter.com/SWs0vg4sYw— Kanchana Yadav (@Kanchanyadav000) November 7, 2025
এই ঘটনায় কংগ্রেসও (Congress) প্রতিবাদে মুখর হয়েছে। দলীয় নেতারা নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন এবং তদন্তের দাবি তুলেছেন। যদিও শম্ভবী বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, বিজেপি (BJP) নেতা রাকেশ সিনহার (Rakesh Sinha) বিরুদ্ধেও ভোট জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ (Saurabh Bhardwaj) দাবি করেন, রাকেশ ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে ভোট দিয়েছেন এবং এবার বিহারেও ভোট (Bihar Elections) দিয়েছেন। তিনি দু’টি ছবি শেয়ার করে বলেন, “একজন ব্যক্তি দুই রাজ্যে ভোট দিতে পারেন কীভাবে?” রাকেশ অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি দিল্লির ভোটার ছিলেন, পরে বিহারে নাম পরিবর্তন করে ভোটার হয়েছেন।
বিরোধীরা আরও অভিযোগ করেছেন, বিজেপির (BJP) দিল্লি পূর্বাচল মোর্চার সভাপতি সন্তোষ ওঝা এবং কর্মী নগেন্দ্র কুমারকেও বিহারে ভোট দিতে দেখা গিয়েছে, যদিও তাঁরা দিল্লির ভোটার ছিলেন বলে দাবি।
এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীরা তদন্তের দাবি তুললেও কমিশনের তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি।