সংবিধান সংশোধন করে আসিম মুনিরের ক্ষমতা বৃদ্ধির তোড়জোড়, কোন পথে পাকিস্তান?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:১২: অতীতে একাধিকবার সেনানায়ককে রাষ্ট্রপ্রধান হতে দেখেছে পড়শি দেশ পাকিস্তান। এবার কি সেই পথেই এগোচ্ছে পাকিস্তান? জল্পনা চলছিল। অবশেষে তা সত্যি হল! দেশের সংবিধান সংশোধন করে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের (Asim Munir) ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিল পাকিস্তান সরকার। জানা যাচ্ছে, শনিবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে সংবিধান সংশোধনী বিলটি পেশ করা হয়েছে। অপারেশন সিঁদুর পরিস্থিতিতে এবং তারপর ভারতের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষে, বিদ্বেষ ছড়িয়ে গিয়েছেন মুনির। মনে করা হচ্ছে, ভারত বিদ্বেষের পুরস্কার দিতেই শাহবাজ শরিফের সরকার মুনিরকে অসীম ক্ষমতা দিতে চলেছে।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে শনিবার বিলটি পেশ করা হয়েছে। সংবিধানের ২৪৩ অনুচ্ছেদে সংশোধন করার কথা বলা হয়েছে বিলটিতে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান নিয়োগ ও সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিধি ২৪৩ অনুচ্ছেদেই রয়েছে। প্রস্তাবিত বিলে সেনাবাহিনীতে নয়া পদ তৈরির কথা বলা হয়েছে। পদের নাম হবে চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্সেস। বিলে বলা হয়েছে, এখন যে সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আছেন, তিনিই নতুন পদের দায়িত্বে আসীন হবে। অর্থাৎ বিলটি পাশ হলে, মুনিরই হবেন পাকিস্তানের চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্সেস বা প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান।
বিলে আরও বলা হয়েছে, বিল পাশ হলে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার প্রধানকে নিয়োগ করবেন। চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্সেস বা প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধানকেও নিয়োগ করবেন তিনি। প্রস্তাবিত বিলে কমান্ডার অফ ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড নামে আর একটি নতুন পদ তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। দেশের পরমাণু এবং কৌশলগত বিষয়গুলির উপর নজরদারি চালাবেন এই পদাধিকারীর।
উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের পর মুনিরের পদোন্নতি করে পাক সরকার। তাঁকে ফিল্ড মার্শাল করা হয়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক নানান কর্মসূচিতে তাঁকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। কয়েকমাস আগে আমেরিকা সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন মুনির। ট্রাম্পও তাঁর প্রশংসা করেছেন। ফলে মুনিরের গুরুত্ব বৃদ্ধি অভিপ্রেতই ছিল। তিনি পারভেজ মুসাফরের জুতোয় পা গলান কি-না সে উত্তর দেবে সময়।