১০/১১ দিল্লি বিস্ফোরণ : শুধু দিল্লি নয়, দেশের একাধিক জায়গায় ছিল বিস্ফোরণের পরিকল্পনা?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:০০: লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে কার্যত প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দেশের নিরাপত্তা। তদন্তে সামনে আসছে নানা তথ্য। মনে করা হচ্ছে, দিল্লি ছাড়াও দেশের বহু জায়গায় বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের। আরও মনে করা হচ্ছে, দু’বছর ধরে বিস্ফোরক সংগ্রহ করা হয়েছিল। বিস্ফোরণস্থল এখনও কড়া পাহারায় রয়েছে। আশপাশের এলাকায় তীক্ষ্ণ নজরদারিও করা হচ্ছে।
দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডকে জঙ্গি হামলা হিসাবে ঘোষণা না-করা হলেও তদন্তের গতিপথ সেদিকে ইঙ্গিত করছে। সূত্রের খবর, হামলার নেপথ্যে রয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। যদিও কোনও জঙ্গি এখনও পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি। সূত্রানুসারে, প্রায় দু’বছর ধরে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সংগ্রহ করছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। বিস্ফোরক ব্যবহারের ধরন দেখেই জইশের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা আরও জোরালো হচ্ছে। এই জঙ্গি গোষ্ঠীই সম্প্রতি হামলায় এমন ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, গাড়িটি বিস্ফোরণের আগে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করছিল। ঘাতক গাড়ির সূত্র ধরে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলছে তদন্ত।
২০১৪ সালের ১৮ মার্চ গাড়িটি প্রথমবার বিক্রি হয়। গাড়িটি কেনেন জনৈক সলমন। তিনি গাড়িটি দেন দেবেন্দ্রকে। তারপর মালিকানা বদল হয়, গাড়িটি যায় সোনুর কাছে। এরপর গাড়িটি যায় তারিকের কাছে। যদিও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে কোনও বদল হয়নি। ফরিদাবাদের এক গাড়ি বিক্রেতার নামও জড়িয়ে গিয়েছে গোটা ঘটনায়। ফরিদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জনৈক নাদিম খানকে। তাঁকে জেরা করেই তারিকের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এখন দেখায় কোন পথে এগোয় তদন্ত, কত তাড়াতাড়ি সব দোষীরা ধরা পড়েন।