১৫-১৭ই অক্টোবর ভার্চুয়াল মাধ্যমে কলকাতার পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এবারে পুজো নিয়ে বিভিন্ন সতর্কতার কথা বলেন সমস্ত পুজো কমিটির উদ্দেশ্যে। এছাড়া ভিড় এড়াতে তিনি এবার ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পুজো উদ্বোধনের কথা বলেন।
১৫ই অক্টোবর ভার্চুয়ালি উত্তর কলকাতায় পুজোর উদ্বোধন করা হবে। ১৬ই অক্টোবর ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন হবে বেহালা ও যাদবপুরের। ১৭ই অক্টোবর দক্ষিণ কলকাতায়। এই তিন দিন বিকেল ৫টায় ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন হবে ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাই সকলেই মাস্ক পরুন। কোভিড টেস্টের খরচ কমিয়ে ১৫০০ টাকা করা হয়েছে। করোনা আবহাওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া কমাতে হবে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে সরকার। এম আর ভাঙ্গর হাসপাতালে ৫৬টি বেড চালু হলো। শীঘ্রই চালু হবে ৪৯৬টি নতুন বেড।
রোগীদের স্বস্তি দিতে তিনি বলেন, পাড়ায় পাড়ায় চেম্বার খুলতে পারেন ডাক্তারেরা। এ ব্যাপারে আইন শিথিল করছে রাজ্য সরকার। সংক্রমণ আটকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। পুজোয় চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল। পুজোয় সর্বক্ষণের জন্য থাকছে কন্ট্রোল রুম খোলা নাম্বার ১০৭০।
প্যান্ডেলে ধর্মীয় জনপ্লাবনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, পুজো প্যান্ডেলের ঢোকার সময় মাস্ক থাকা বাধ্যতামূলক। মাস্ক না পড়লে প্যান্ডেলে ঢুকতে দেবেন না। সতর্কতামূলক প্রচার করতে হবে পুজো কমিটিকে। প্রয়োজনে প্যান্ডেলে ঢোকার সময় মাস্ক এবং স্যানিটাইজার দিন সবাইকে। ব্যবস্থাপনা দেখে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান এক্সট্রা পয়েন্ট দেওয়া হবে। প্যান্ডেলের কাছাকাছি মধ্যে কোনো রকম কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। স্থানীয় স্তরে পুজো উদ্বোধন করা যায় কিনা সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে ও দিল্লীতে যেখানে প্রচুর সংখ্যক বাঙালি থাকে, সেখানের বিষয়ে তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে তো দুর্গাপুজোর অনুমতি দেয়নি । দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্ক ছাড়া আর কোথাও পূজার অনুমতি নেই। বাংলা পুজো হবে আবার সংক্রমণ আটকাতে হবে। ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।