দুর্গাপুজোয় অর্ঘ্য দানে মেনে চলুন এই নিয়মাবলী
আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন অবধি শারদীয়া উৎসব তথা দুর্গাপুজা। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে “দুর্গাষষ্ঠী”, “মহাসপ্তমী”, “মহাষ্টমী”, “মহানবমী” ও “বিজয়াদশমী” নামে অভিহিত। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষটিকে বলা হয় “দেবীপক্ষ”। এবছর অবশ্য মলমাস হওয়ার কারণে পুজো কার্ত্তিক মাসে হচ্ছে। দেবীপক্ষের শেষ দিনটি হল কোজাগরী পূর্ণিমা। এই দিন হিন্দু দেবী লক্ষ্মীর পুজা করা হয়। কোথাও কোথাও পনেরো দিন ধরে পালিত হয় এই শারদীয়া উৎসব। সে ক্ষেত্রে মহালয়ার আগের নবমী তিথিতে পুজো শুরু হয়।
হিন্দুশাস্ত্র মতে, এই তিথি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ এবং এই তিথিতে বিশেষ কিছু কাজের ফলে সারাজীবনের জন্য সৌভাগ্য অর্জণ করা যায়। দেবী পক্ষে মানেই মাতৃ আরাধনা, তাই মায়ের কৃপা দৃষ্টি সর্বদা বজায় রাখতে মেনে চলতে হবে বিশেষ কিছু নিয়ম। তার মধ্যে একটি হল দুর্গাপুজোয় অর্ঘ্য দান। এই কারণেই পারিবারিক দুর্গাপুজোগুলিতে শাস্ত্রাচার পালনের উপরেই বেশি জোর দেওয়া হয়। দুর্গা পুজোয় অর্ঘ্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিভিন্ন ধরণের অর্ঘ্যে থাকে এক এক প্রকারের কামনা পূরণ হয়ে থাকে। তাই পুজোয় অর্ঘ্য দানের আগে জেনে নিন কোন অর্ঘ্য দানে কী ফল লাভ হয়।
দেবীকে বস্ত্র দান করুন। হিন্দু শাস্ত্র মতে, বস্ত্র প্রদানে সব রকমের সিদ্ধি লাভ হয়। তাছাড়া, সিঁদুর ও আলতা এর সঙ্গে অবশ্যই রাখবেন।
পুজো মানেই প্রচুর টাকা দক্ষিণা হিসেবে দিতে হবে এমনটা মোটেই নয়, ফলপ্রাপ্তির জন্য ষোল আনা দক্ষিণা হিসেবে দিতে পারেন।
অর্ঘ্য হিসেবে ১০৮টি দূর্বা, ১০৮ টি আতপ চাল ও ১০৮ টি যব, এর সঙ্গে আলতা ও সিঁধুর লাল সুতো দিয়ে বেঁধে অর্ঘ্য দেবীকে দান করলে সব দুঃখ নাশ হয়।
সাধ্য অনুযায়ী নৈবেদ্য দিন পুজোতে। শাস্ত্র মতে, নৈবেদ্য দ্বারা সকল প্রকার সিদ্ধি লাভ হয়। একটি লাল পদ্ম, জবার মালা দিতে পারেন। দেবীর পুজোয় ফুল প্রদান করলে দেবী কৃপা দৃষ্টি বজায় থাকে।
পুজোয় ১টি মোমবাতি, ধূপ-দ্বীপ দানের দ্বারা পুজো করলে লাভ হয় দেবীর সন্তুষ্টি।
পুজোর অর্ঘ্য সামগ্রীতে অবশ্যই ৮টি বিল্বপত্র রাখুন। দেবীকে বিল্বপত্র দান করলে আয়ু, বল ও যশ বৃদ্ধি হয়।