Delhi Blast: জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী আটক! উমরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:৪৫: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ থেকে গ্রেপ্তার হলেন চতুর্থ বর্ষের এক ডাক্তারি পড়ুয়া। জানা যাচ্ছে, তাঁকে হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটক ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার নাম প্রিয়ঙ্কা শর্মা। জানা যাচ্ছে, তিনি হরিয়ানার রোহতকের বাসিন্দা। অনন্তনাগের একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী প্রিয়ঙ্কা। অনন্তনাগের মালাকনাগ অঞ্চল থেকে প্রিয়াঙ্কাকে আটক করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বিস্ফোরণকাণ্ডের অভিযুক্ত উমর উন নবির যোগাযোগ ছিল। ফোনের সূত্র ধরে এমন সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে তাঁর আদৌ কোনও ভূমিকা ছিল কি-না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অনন্তনাগের এক ভাড়াবাড়িতে থাকত ওই চিকিৎসক। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড। আরও এক অভিযুক্ত আদিল গ্রেপ্তার হওয়ার পরই প্রিয়াঙ্কার নাম সামনে আসে। অবশেষে আটক করা হল তাকে। হরিয়ানা থেকে একটি দল অনন্তনাগে যাচ্ছে বলেও খবর।
নাশকতার মূলে থাকা তিন আততায়ী চিকিৎসক উমর, মুজম্মিল ও শাহিনের ‘মানি ট্রায়াল’ প্রকাশ্যে এসেছে। দাবি করা হচ্ছে, হাওয়ালার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা পাঠানো হয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদের তরফে। সামনে আসছে পাকযোগের তথ্য। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরপ্রদেশেও তল্লাশি চলছে। সূত্রের খবর, কানপুর, লখনউ, মেরঠ, সহারনপুর এবং রাজ্যের আরও কয়েকটি জায়গা গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণস্থল থেকে তিনটি ৯ মিমি-ক্যালিবার কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি তাজা এবং একটি খালি ছিল। ৯ মিমি-ক্যালিবার কার্তুজ সাধারণত সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। যার অসামরিক ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ঘটনাস্থলে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র বা অন্যকিছু পাওয়া যায়নি।