‘দুয়ারে রেশন’ বন্ধে আদালতে মোদী সরকার, বাঙালিকে ভাতে মারার চক্রান্ত?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:৪৫: আদালতের নির্দেশের পরও বাংলায় ১০০ দিনের কাজ বন্ধ রেখেছে মোদী সরকার। কার্যত গ্রামীণ বাংলার অর্থনীতিকে ধাক্কা দিয়েছে মোদী সরকারের এহেন মনোভাব। এছাড়াও আবাসের টাকা মিলছে না, গ্রাম সড়ক যোজনার ক্ষেত্রেও বঞ্চনার শিকার বাংলা। এবার গরিব মানুষের ভারতের থালা কেড়ে নেওয়ার উদ্যোগ? ‘দুয়ারে রেশন’ বন্ধের দাবিতে আদালতে গেল মোদী সরকার।
যাঁরা শারীরিকভাবে অক্ষম, তাঁদের জন্য ‘দুয়ারে রেশন’ পরিষেবা শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রকল্প বন্ধ করতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে কেন্দ্র। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের দোহাই দিয়ে বাংলায় গরিবদের ঘরে ঘরে চাল-গম পৌঁছনো বন্ধ করতে মরিয়া মোদী সরকার। বুধবার মামলাটি শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে তালিকাবদ্ধ হয়েছে। উল্লেখ্য, গোটা দেশে একমাত্র বাংলাতেই সবাই রেশন পান। বিনামূল্যে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ঘরের দুয়ারে পৌঁছয় রেশন।
অন্ধপ্রদেশে সম্প্রতি বন্ধ হয়েছে দুয়ারে রেশন। দিল্লিতেও কেজরিওয়াল চালু করেছিলেন এই প্রকল্প। কিন্তু কেন্দ্র চাপ দিয়ে বন্ধ করেছে। ২০২১ সাল থেকে বাংলায় চলছে দুয়ারে রেশন। এবার লক্ষ্য বাংলা।
দুয়ারে রেশন সংক্রান্ত দোকানদারদের এক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে হেরে ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টে এসেছে রাজ্য সরকার। সেই মামলায় এতদিন আগ্রহ দেখাচ্ছিল না মোদী সরকার। সম্প্রতি খাদ্যমন্ত্রকের ডিরেক্টর সীতারাম মিনা ২৭২ পাতার পিটিশন ফাইল করেছেন। বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার তার নিজের কোনও প্রকল্পে ইচ্ছেমতো খাদ্যশস্য বণ্টন করতেই পারে। কিন্তু কেন্দ্রের প্রকল্পে তা চলবে না। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে এমন কোনও সুযোগ নেই। যে কোনও গ্রাহক দেশের যে কোনও রেশন দোকান থেকে চাল-গম তুলতে পারেন। দাবি করা হচ্ছে, বাংলার সরকার আইন লঙ্ঘন করছে। তাই দুয়ারে রেশন বন্ধ এবং রাজ্য সরকারকে আর্থিক জরিমানা করার দাবি জানাচ্ছে কেন্দ্র। এও কার্যত বাংলাকে বঞ্চনার নামান্তর মাত্র।