‘নতুন কার্যকর্তাদের দ্রুত ভরসা নয়’, বাজপেয়ীর উক্তি টেনে ফের বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহী দিলীপ!

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:১৫: ফের বঙ্গ বিজেপিতে (BJP) মাথাচাড়া দিয়ে উঠল ‘আদি-নব্য’ সংঘাত। এবার সেই বিতর্কে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) উক্তি টেনে সরাসরি দলের নেতৃত্বকে বার্তা দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং মন্তব্যে ফের রাজ্য বিজেপির অন্দরের টানাপোড়েন প্রকাশ্যে এসেছে।
অটলের উক্তি টেনে দিলীপের বার্তা সোমবার একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) একটি উক্তি তুলে ধরেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর সেই বার্তা ছিল অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ, “পুরনো কর্মীকে ভাঙতে দিও না, প্রয়োজনে দশ জন নতুন আলাদা হয়ে যাক”।
এখানেই না থেমে তিনি আরও যোগ করেন, “খুব দ্রুত নতুন কার্যকর্তাদের উপর ভরসা করা উচিত নয়।”
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দিলীপ ঘোষের এই পোস্ট নিছক অটলজীর স্মরণ নয়, বরং দলের বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি তাঁর তীব্র ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, দলকে শক্তিশালী করতে হলে পুরনো ও অভিজ্ঞ যোদ্ধাদের গুরুত্ব দিতে হবে। তাঁর কথায়, অটলের এই নীতি আজও ‘সময়োপযোগী’। খড়গপুরেও (Kharagpur) টেনে আনলেন ‘পুরনো কাসুন্দি’। শুধুমাত্র পোস্টেই নিজের ক্ষোভ সীমাবদ্ধ রাখেননি তিনি। এদিন খড়গপুরে একটি দলীয় অনুষ্ঠানে গিয়েও তিনি দলের ‘পুরনো কাসুন্দি’ টেনে আনেন। বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট, তার আগে তাঁর মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে।
নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে গিয়ে তিনি বলেন, “পার্টি দু’বার আমার ইচ্ছায় টিকিট দিয়েছে, আর এক বার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দিয়েছে। আমি কাউকে কোনও দিন টিকিট চাইনি। পার্টি বললে লড়েছি।” নিজেকে আবারও ‘সাধারণ কর্মী’ হিসেবেই পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।
লোকসভা ভোটের পর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ্যে
লোকসভা ভোটে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে (Burdwan-Durgapur Lok Sabha constituencies) কীর্তি আজাদের কাছে পরাজয়ের পর থেকেই দলের অভ্যন্তরে দিলীপ ঘোষের অবস্থান কিছুটা দুর্বল হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। একই সঙ্গে, তাঁর পুরনো গড় মেদিনীপুরেও শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অগ্নিমিত্রা পালের পরাজয় হয়েছে। ফল প্রকাশের পর থেকেই দিলীপের চাপা ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছিল। এদিনের মন্তব্যে ফের স্পষ্ট হল যে, তাঁর মন থেকে সেই অভিমান এখনও কাটেনি।